মঙ্গলবার বিধানসভায় সংবিধান দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা হলেও, কথা হয়নি দু জনের। মুখ্যমন্ত্রী স্বাগত জানাতে গিয়েছিলেন রাজ্যপালকে, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়েই অধিবেশন কক্ষে ঢুকে পড়েন। এমনকী তাঁকে শেষ মুহূর্তে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান রাজ্যপাল। ঘটনায় রাজ্যপালকে মুখ্যমন্ত্রীর তোপ, ‘আমি তিনবার চিঠি দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীও আমার সঙ্গে এরকম করেন না। প্রধানমন্ত্রী দেখা হলে কথা বলেন। রাজ্যপাল দেখা হলে কথা বলেন না।’ অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেন, রাজ্যপাল তাঁর ভাষণে বাংলার চেয়ে বেশি কথা বলেছিলেন কাশ্মীর নিয়ে। আমাদের গভর্নর খুব ভাল কথা বলেছেন, তবে তিনি ভুলে গিয়েছিলেন যে এটি কাশ্মীর নয়, এটি বাংলা। তিনি কাশ্মীর সম্পর্কে বাংলার চেয়ে বেশি কথা বলে ফেলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেশে এখনও অনেক সাহসী মানুষ আছেন। তাই তাঁরা জেলে যেতে রাজি। কিন্তু কোলে বসতে রাজি নন। তিনি এই কথায় রাজ্যপালের পাশাপাশি বিজেপিকেও একহাত নেন। এদিন রাজ্যপালের ৩৭০ ধারা রদকে সমর্থন করা নিয়ে মমতা এই ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, কেন ফারুক আবদুল্লাদের জেলে আটকে রেখে ৩৭০ ধারা রদ করতে হল। আজও তিনি জেলে। এই কি গণতন্ত্র। কেন কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন মমতা। তিনি হেলিকপ্টার প্রসঙ্গেও রাজ্যপালকে জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাজ্যপাল হেলিকপ্টার চেয়েছিলেন। কিন্তু পাননি। কিন্তু কেন পাননি, তা না জেনেই তিনি নিশানা করলেন। এদিন মহারাষ্ট্রে বিজেপির মহাচমকের তিনদিন পর মহাপতন প্রসঙ্গে সরব হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মহারাষ্ট্র সরকার গঠন নিয়ে খোঁচা দেন বিজেপিকে। খোঁচা দেন রাজ্যপালকেও। বলেন, মধ্যরাতে স্বাধীনতার কখা শুনেছি, মধ্যরাতে সরকার গঠনের কথা এই শুনলাম। কেন মহারাষ্ট্রে চুপিচুপি সরকার গঠন করা হল, প্রশ্ন ছুড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।