নয়াদিল্লিঃ ব্যাংক সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদে ফের ধর্মঘটের পথে হাঁটছে কর্মী সংগঠনগুলি। আগামী মঙ্গলবার ফের দেশজুড়ে ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ৩ টি কর্মী সংগঠনের তরফে। ইন্ডিয়া ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন, ব্যাংক এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া, অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস – এই তিন সংগঠন মিলে একযোগে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।সূত্রের খবর, শুধু সংযুক্তিকরণের প্রতিবাদই নয়, অনাদায়ী ঋণ আদায়, ব্যাংকিং পরিকাঠামোর পুনর্বিন্যাসের ফাঁকফোকরগুলি নিয়েও ওইদিন সরব হবেন তাঁরা। সপ্তাহের দ্বিতীয় কাজের দিন ব্যাংক ধর্মঘটের ফলে গ্রাহকরা বড়সড় সমস্যার মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা সকলের।ধুঁকতে থাকা জাতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বড়সড় পরিবর্তন করেছে অর্থমন্ত্রক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে সংযুক্তিকরণের মাধ্যমে ৪টি ব্যাংক তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন। এর জেরে আলাদাভাবে আর থাকছে না ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অফ কমার্স, ইউনাইটেড ব্যাংক, এলাহাবাদ ব্যাংক, ইন্ডিয়ান ব্যাংক। মিশে যাচ্ছে কানাড়া ব্যাংক, সিন্ডিকেট ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংক, অন্ধ্র ব্যাংকও। ফলে কর্মী ছাঁটাইও হবে। তাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবল প্রতিবাদে নেমে পড়েছে ব্যাংকের কর্মী সংগঠনগুলি। আগেও বেশ কয়েকবার এই কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সংগঠনগুলি। পুজোর ঠিক আগে সেপ্টেম্বরের শেষে দু’দিন এই ধর্মঘটের দিন স্থির হলেও, জনগণের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে তা স্থগিত করে দেওয়া হয়। তখনই জানানো হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে প্রতিবাদের দিন ঠিক করা হবে। তাই পুজো মিটে যাওয়ার পর ২২ অক্টোবর দেশজুড়ে ব্যাংক ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে তিনটি সংগঠনের তরফে। এর জেরে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় গ্রাহকরা। এমনকী ব্যাংকের নিজস্ব কাজকর্মেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে উদ্বিগ্ন কর্মীরা। তবে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যে তিনটি সংগঠন ধর্মঘটে শামিল হয়েছে, তার মধ্যে খুব কম সদস্যই এসবিআইয়ের কর্মী। তাই এই ধর্মঘটের প্রভাব তাদের শাখাগুলিতে সেভাবে পড়বে না বলেই দাবি।