জেলা

মাকে খুন করে পুকুরে ফেলল দুই মেয়ে

রায়গঞ্জঃ মা-কে খুন করে মেরে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁরই দুই মেয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে রায়গঞ্জের গোয়ালপাড়া দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লীর এলাকার ঘটনা। মৃতার নাম কৃষ্ণা দে রায়।এদিন পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হতেই উত্তেজিত বাসিন্দারা বাড়িতে ঢুকে অভিযুক্ত দুই মেয়েকে গনপিটুনি দেয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত দুই মেয়েকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে আসে।পাশাপাশি পুকুর থেকে ওই শিক্ষিকার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জের পূর্ব কলেজপাড়া প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা কৃষ্ণা দে রায় মহা অষ্টমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন। কিন্তু তাঁর দুই মেয়ে শ্রেয়া রায় এবং অপর মেয়ে মায়ের নিখোঁজের বিষয়ে কাউকে কিছু না জানানোর পাশাপাশি রায়গঞ্জ থানায় মিসিং ডায়েরিও করেনি।শনিবার সকালে গোয়ালপাড়ার পাতপুকুরে কৃষ্ণাদেবীর মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কৃষ্ণাদেবীর দুই মেয়ে তাঁর উপর চরম শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। এই বিষয় নিয়ে কৃষ্ণাদেবী স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন।স্থানীয় কাউন্সিলর তাঁকে রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শও দিয়েছিলেন। কিন্তু মাতৃস্নেহের বশে তিনি মেয়েদের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেননি। কিছুদিন শান্ত থাকার পর পুজোর সময় থেকে ফের অশান্তি শুরু হয় বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।গত ৬ অক্টোবর অষ্টমীর দিন থেকে নিখোঁজ ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা কৃষ্ণা দে রায়। শনিবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হতেই দেবীনগর রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পাশাপাশি বাসিন্দারা অভিযুক্ত দুই মেয়ের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।অপরদিকে অভিযুক্ত এক মেয়ে শ্রেয়া রায় জানিয়েছেন, আমরা ভেবেছিলাম মা’ মামার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছেন। তাই আর তাঁর খোঁজ করিনি। মাঝেমধ্যেই না বলে মামার বাড়ি যেতেন মা’। মায়ের সাথে অশান্তি বা অত্যাচারের কথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।