দেশ

মাথায় পা দিয়ে আশীর্বাদ করে বিতর্কে পুরীর পুরোহিত

ভুবনেশ্বর: শারদীয়া দুর্গাপুজোর শেষে আসে বিজয়া। সমবয়সীরা একে-অপরকে শুভেচ্ছা জানায়। বড়দের প্রণাম করে ছোটরা। আর ছোটদের আশির্বাদ করে বড়রা। এটাই বিজয়ার রেওয়াজ।সেই জায়গায় কিছুটা ভিন্ন ছবি দেখা গেল ওড়িশার পুরীতে। জগন্নাথদেবের শহরে এক পুরোহিতকে দখা গেল ভক্তদের আশির্বাদ করতে। তাও আবার পা দিয়ে।ভক্তেরাও ওই পুরোহিতের আশির্বাদ নেওয়ার জন্য বিশেষ আগ্রহী। লাইন দিয়ে মাথা নিচুর করে বসে রয়েছেন সকলে। একের পর এক ভক্তের কাছে গিয়ে মাথায় পা ঠেকিয়ে আশির্বাদ করছেন পুরোহিত। আশির্বাদ পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই কারণে অনেক ভক্ত আবার মাথা নিচু করে থাকছেন। যদি পুরোহিতের পা ঠেকাতে অসুবিধা হয় সেই কারণেই এই ব্যবস্থা।বিজয়ায় আশীর্বাদ দেওয়ার অধিকার বড়দের থাকে। আর স্বয়ং ঈশ্বর তো আছেনই। পুরোহিতও দিতেই পারেন। তিনি প্রবীন হিসেবে ছোটদের আশীর্বাদ করতেই পারেন। তাই বলে পা দিয়ে! তাও আবার বয়সে প্রবীণ মানুষদের।এই নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। সংবাদ সংস্থা এএনআই এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। যেখানে এমনই ছবি দেখা যায়। যদিও এই রেওয়াজে ভুল দেখছেন না পুরোহিত আর সামান্তরি। তিনিই পা দিয়ে ভক্তদের আশীর্বাদ করছিলেন।তিনি বলেছেন, “এটা অনেক পুরনো রেওয়াজ। যা দীর্ঘ দিন ধরে মেনে চলা হচ্ছে। মানুষের আমাদের উপরে বিশ্বাস এবং আস্থা আছে বলেই আমাদের থেকে আশির্বাদ নিয়ে থাকেন।” কিন্তু পা দিয়ে আশীর্বাদ? এই বিষয়ে পুরোহিত আর সামান্তরি বলেছেন, “যারা এই ভাবে আশীর্বাদ নেয় তাঁরা পুজোয় বিশ্বাস করেন না। পুজোর বাইরে গিয়ে অন্য কিছু করতে আগ্রহী তাঁরা। সেই কারণেই এই রেওয়াজ চালু হয়।”বিষয়টি যে দৃষ্টিকটু তা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন পুরোহিত আর সামান্তরি। তাঁর মতে, “অনেকের এই রেওয়াজ পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু এই রেওয়াজ বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে।”