রাজ্যে আরও ২১০ ভেন্টিলেটর, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিমার পরিমাণ ৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ
জ্যোতির্ময় দত্ত, কলকাতাঃ করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় জেলা কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলায় করোনা হাসপাতাল গড়ে তোলার আগে চিকিত্সক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন। তাঁদের লড়াইয়ে পাশে থাকার বার্তা দিলেন। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। শোনেন তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা। দেন বিভিন্ন পরামর্শ। বৈঠকে জেলা ধরে ধরে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, করোনার চিকিৎসার জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ব্যবস্থা সর্বত্র হয়েছে কিনা। কিছু জেলায় সরকারি হাসপাতালে পৃথক ব্যবস্থা হলেও সব জায়গায় তা না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই তিনি জানান, বেসরকারি হাসপাতালে পৃথকভাবে করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো গড়তে হবে। নাম জানতে চান বিভিন্ন জেলার বেসরকারি হাসপাতালের। কোন কোন বেসরকারি হাসপাতাল ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান জেলা শাসকরা। তার মধ্যে কয়েকটি জায়গা নিয়ে আপত্তি করেন মুখ্যমন্ত্রী। ব্লকে ব্লকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার তৈরিরও নির্দেশ দেন। আজ সন্ধের মধ্যে বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণের রিক্যুইজিশন ফর্ম সব জেলায় পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এটাও পরিষ্কার করে দেন, শুধুমাত্র হাসপাতাল বিল্ডিং নয়, সমস্ত পরিকাঠামো এবং কর্মী বাহিনীকেও রাজ্য সরকার নিয়ে নেবে। সরকারি তত্ত্বাবধানে করোনা মোকাবিলা করবেন তাঁরা। তিনি এও বলেন, আরও ভেন্টিলেটর কেনা হচ্ছে। মোবাইল ভেন্টিলেটরের জন্যও চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য। আর একইসঙ্গে জেলাশাসক থেকে শুরু করে পুলিস সুপারদের দিলেন করোনা মোকাবিলার পাঠ। তিনি বলেন এমএলএ’র কথা শোনার দরকার নেই, সরকারি নির্দেশ মানুন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন, করোনা মোকাবিলায় যাঁরা লড়াই করছেন তাঁদের দেওয়া বিমার অঙ্ক ৫ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।