কলকাতাঃ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিধানসভা ভবনে ঢোকা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিধানসভা ভবনের গেট বন্ধ থাকাকে কেন্দ্র করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন ধনখড়। ঠিক বিকেলে তার পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন যত ইচ্ছে রাজ্যপাল ঘুরতে চান ঘুরুন কিন্তু রাজ্যের টাকা নষ্ট করবেন না। রাজ্যপাল যে ভাবে হঠাত্ করে একাধিক জায়গায় চলে যাচ্ছে তাতে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সমস্যা থাকলে সরকারকে সরাসরি প্রশ্ন করার পরামর্শ দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলেন, সরকারের কোনও ভুল থেকেই থাকে তাহলে প্রশ্ন কেন তুলছেন সরকারকে, সরাসরি বলতে পারেন তো। সব জায়গায় যাচ্ছেন, ঘুরছেন, ছবি তুলছেন। তিনি বলেন, “আমি ভেবে পাচ্ছি না রাজ্যপালের কী কী দেখার বাকি আছে । দক্ষিণেশ্বরটা দেখা হয়ে গেছে । কালীঘাট মনে হয় দেখা হয়নি । তবে দেখা উচিত । আমি একটা তালিকা তৈরি করে দিতে চাই । আর ওনার দেখা উচিত চিড়িয়াখানা । সেখানে জনসংযোগের সুযোগ আছে ।”
উল্লেখ্য, আজ বিধানসভার মুলতুবি থাকায় গেট বন্ধ ছিল। ফলে অন্য গেট দিয়ে ঢুকলেন রাজ্যপাল। পূর্ব ঘোষণা মতো সকাল সাড়ে দশটাতেই বিধানসভার গেটে হাজির হয়ে যান রাজ্যপাল। নির্দিষ্ট গেল খোলা না থাকায় তিনি অন্য গেট দিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করেন। সাধারণভাবে বিধানসভায় ৩ নম্বর গেটটি রাজ্যপালের জন্য বরাদ্দ। কিন্তু এদিন বিধানসভায় স্পিকার না থাকায় সেই গেট খোলার নির্দেশ মার্শালের কাছে ছিল না। তাই মার্শাল জানিয়ে দেন, তিনি ওই গেট খুলতে পারবেন না। কিছু দিন আগে সস্ত্রীক বিধানসভা ঘুরে দেখার আবদার জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। সেই চিঠিতে সাড়া দিয়ে আমন্ত্রণও জানিয়ে ছিলেন অধ্যক্ষ। কিন্তু বৃহস্পতিবার বেলা গড়তেই পরিবর্তন হয় পরিস্থিতির। এদিন বিএ কমিটির বৈঠক বাতিল করা হওয়ার জেরে অধ্যক্ষ, শাসক দলের মুখ্যসচেতক কিংবা পরিষদীয় দলনেতা কেউই উপস্থিত থাকবেন না। ফলে রাজ্যপালকে বৃহস্পতিবারের বদলে শুক্রবার বিধানসভায় আসতে অনুরোধ করা হয়, বিধানসভার সচিবালয়ের পক্ষ থেকে। তবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সেই অনুরোধ রাখেন না।। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিনি বৃহস্পতিবার সকালে হাজির হন বিধানসভার সামনে।