কলকাতা

লাগামছাড়া দামে লক্ষ্মীর বাজার আগুন

কলকাতাঃ সম্পদের দেবী লক্ষ্মী। ঐশ্বর্যের দেবী তিনি। আমজনতার ঘরে অন্নের দেবী হিসেবেও সমধিক পরিচিত। তাঁর পুজো হয় মূর্তি, পট আর ঘটে। ঘটই আসল। আলপনা এঁকে, তার উপরে ঘট বসানো হয়। কিন্তু সেই ঘট বসাতেই হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। হাত ছোঁয়ানো যাচ্ছে না মূর্তি বা পুজোর অন্যান্য সাগ্রীতে। সবজি এমনকি ফলের বাজারও রীতিমতো আগুন। তবে শুধু শহর নয়, শহরতলিতেও বাজারের অবস্থা একই। ফলে লক্ষ্মী আরাধনায় কালঘাম ছুটছে সাধারণ মানুষের।আর্থিক মন্দার ছাপ পড়েছিল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোতেও। পুজোর চার-পাঁচটা দিন রাস্তায় মানুষের ঢল নামলেও পসার জমেনি বলে খেদ উগরে দিয়েছিলেন বিক্রেতারা। পুজোর আগেও জামা-কাপড়ের বাজার সেভাবে জমেনি। সেই ছাপ পড়েছে কী লক্ষ্মী পুজোতেও? অন্তত শহর বা শহরাঞ্চলের আশপাশের বাজারদরে আতঙ্কিত সকলেই। পুজোর বাজার করতে যাওয়ার আগে এক ঝলকে দেখেনিন বাজারের অবস্থা- ফুলকপি- ৫০টাকা ১টা,বাঁধাকপি- ৫০টাকা ১টা,মুলো- ৭০টাকা কেজি,ঝিঙে- ৫০টাকা কেজি,বেগুন- ৮০ টাকা কেজি, থোর-২০টাকা ১টা,মিষ্টি কুমড়ো- ৪০টাকা কেজি। আপেল- ১৮০টাকা কেজি,লেবু- ২৫ থেকে ৩০টাকা ১টা,শশা- ৬০টাকা কেজি,কলা- ৫০ থেকে ৬০টাকা ডজন,নারকেল- ৪০টাকা ১টা, গাঁদার মালা- ২৫টাকা ১টা,পদ্ম- ৪০টাকা ১টা,জবা মালা- ৫০টাকা ১টা,রজনীগন্ধার মালা- ৪০টাকা ১টা।অন্যদিকে ছোট লক্ষ্মী মূর্তির দাম প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। এবং বড় মূর্তির দাম কোথাও কোথাও হাজার ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি কাঁচা বাজারের দাম আগামিকাল অর্থাৎ রবিবার আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ক্রেতা এবং বিক্রেতা উভয়ই।