হক জাফর ইমাম, মালদা: সদ্যোজাত সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মালদা শহরের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে৷ এনিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই নার্সিং হোম চত্বর৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে মালদা ইংরেজবাজার থানার পুলিশ৷ যদিও নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই প্রসূতি নির্দিষ্ট সময়ের আগে সন্তান প্রসব করেছিলেন৷ সদ্যোজাত অত্যন্ত সংকটজনক ছিল৷ পরবর্তীতে সেই সন্তানের মৃত্যু হয়৷তীব্র প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে গত বুধবার মালদা শহরের গাবগাছি এলাকার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভরতি হয়েছিলেন বৈষ্ণবনগরের কামাত গ্রামের বাসিন্দা ঝুমা বিবি৷ তাঁর স্বামী সাবিরুল ইসলাম পেশায় লরিচালক৷ কর্মসূত্রে তিনি মালদা ইংরেজবাজারের কাঞ্চনটার এলাকায় বসবাস করেন৷ ঝুমাদেবীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গতকাল বিকেলে তাঁরা প্রসূতিকে নার্সিং হোমে ভরতি করেন৷ রাত সাড়ে ৯টায় তিনি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন৷ রাতে জীবিত সন্তানকে দেখানোও হয়েছিল৷ কিন্তু আজ সকাল থেকে আর বাচ্চাকে দেখতে দেওয়া হয়নি৷ রাত ১০টা নাগাদ যখন বাচ্চার বাবা বাড়ি যায়, তখন নার্সিং হোম থেকে ফোন করে বলা হয়, বাচ্চা আর নেই৷ আমরা তখন মরা বাচ্চাই দেখতে চাই৷ বাচ্চার বাবা বাচ্চার মৃতদেহ চাইলে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ তাকে মারধর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়৷ পরে লোকজন নিয়ে নার্সিং হোমে যাওয়া হলে তারা বলে, বাচ্চা কাচের ভিতর ভরা রয়েছে৷ তবে রোগী ঠিক আছে৷ পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ, নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ বাচ্চা চুরি করে নিয়েছে৷এদিকে নার্সিং হোমের তরফে বিকাশ দাস বলেন, বাচ্চা চুরির কোনও অভিযোগ নেই৷ ঝুমা বিবি ৭ মাসের সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন৷ সেই বাচ্চাকে বাঁচানো সম্ভব ছিল না৷ বাচ্চার মাকে বাঁচানোই তাঁদের মূল লক্ষ্য ছিল৷ বাচ্চার মাকে বাঁচাতে তাঁর জরায়ু কেটে বাদ দিতে হয়েছে৷ উত্তেজিত হয়েই এখন বাচ্চার পরিবারের সদস্যরা নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে৷