বিদেশ

সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত

সৌদি আরব: এবার থেকে সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলারাও যোগ দিতে পারবেন। সৌদির মতো চরম রক্ষণশীল এক দেশের এই সিদ্ধান্তে বিস্মিত আন্তর্জাতিক মহল। একই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সৌদি সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে এই প্রথম সে দেশের সশস্ত্র বাহিনীর বিভিন্ন পদে মহিলারাও যোগ দিতে পারবেন।সৌদির প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুবরাজ মোহম্মদ বিন সলমনের ‘ভিশন ২০৩০’ নামের সংস্কার কর্মসূচির আওতায় সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে সেনাহিনীর বিভিন্ন শাখায় কনস্টেবল থেকে শীর্ষ স্তরের আধিকারিক হিসেবে যোগ দিতে পারবেন মেয়েরা। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, বেশ কিছু দিন ধরেই এই দেশ তার চিরাচরিত সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা বদল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সেই লক্ষ্য পূরণ করতেই সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে সৌদি সরকার দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মাদক-বিরোধী দফতর, অপরাধ দমন এবং সংশোধনাগার পর্যবেক্ষণের মতো কাজে মহিলাদের নিয়োগ করা শুরু করেছিল। সশস্ত্র বাহিনীতে মহিলাদের নিয়োগের এই সিদ্ধান্তে সেই সংস্কার কর্মসূচিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল বলা যায়। সম্প্রতি রক্ষণশীলতা ছেড়ে সংস্কারে ব্রতী হয়েছে সৌদি আরব। দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে তেল বিক্রি করা ছাড়াও পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব দিত চাইছে সৌদি সরকার। পর্যটনের প্রসার ঘটাতে পক্ষকাল আগে সৌদি সরকার ঘোষণা করেছে, বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়াও সৌদি আরবের হোটেলে একসঙ্গে থাকতে পারবেন ঘুরতে আসা বিদেশি নারী ও পুরুষ। কট্টর ইসলামপন্থী এই দেশে এত দিন বৈবাহিক সম্পর্ক ছাড়া কোনও নারী ও পুরুষ একসঙ্গে থাকতে পারতেন না। কিন্তু পর্যটক আকর্ষণে এই নতুন সুবিধা চালু করেছে সৌদি সরকার। তবে শুধু শুধু বিদেশিদের জন্যই নয়, সৌদি মহিলাদের জন্যও হোটেলে থাকার নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। নতুন নিয়মে দেশের মহিলারা শুধু নিজের পরিচয়পত্র দেখিয়েই হোটেলে ঘর ভাড়া নিতে পারবেন। অর্থাৎ হোটেলে থাকতে মহিলাদের পরিবারের কোনও পুরুষ সদস্যের অনুমতি নিতে হবে না। আগে এই অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। নিয়ম-কানুনের এই রদবদলে এটা বলা যায় যে, ধীরে হলেও নারীমুক্তি বা নারী স্বাধীনতার পথে হাঁটছে সৌদি সরকার।