ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার ছোটনাগরা এলাকায় শনিবার মাওবাদী দমন অভিযানে নেমেছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। সেখানে মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে এক সিআরপিএফ জওয়ানের। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। এই দুই সিআরপিএফ জওয়ানই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। মৃত জওয়ানের বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এবং আহত জওয়ানের বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়। শনিবার দুপুর আড়াটা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় মাওবাদীদের পুঁতে রাখা আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। বনগ্রাম মারাংপঙ্গা ফরেস্ট এলাকায় এই বিস্ফোরণের জেরেই বাংলার দুই জওয়ান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিস্ফোরণে আহত হওয়ার পর এয়ারলিফ্টের মাধ্যমে দু’জনকে রাঁচীতে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই চিকিৎসরার সময় সুনীল কুমার মণ্ডল নামের এক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সিআরপিএফ-এর ১৯৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের সাব ইনস্পেক্টর ছিলেন। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানার গাছউপড়া গ্রামে। বিস্ফোরণে আহত সিআরপিএফ জওয়ানের নাম পার্থপ্রতিম দে। তিনি বাঁকুড়া পুরএলাকার রাজগ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এই খবর পৌঁছনোর পর থেকেই সিআরপিএফ জওয়ান পার্থপ্রতিম দে-র বাড়িতে থমথমে পরিবেশ। তাঁর পরিজনরা চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন। তাঁর স্ত্রী পিয়ালী দে বলেছেন, ‘ছুটি কাটিয়ে মাস দেড়েক আগেই কর্মক্ষেত্রে যোগ দেন। গতকাল সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার খবর পাই। আজ সকালে কথা হয়েছে। অস্ত্রোপচার করা হবে।’ এই খবর পেয়েই রবিবার আহত সিআরপিএফ কর্মীর বাড়িতে যান স্থানীয় কাউন্সিলর অপর্ণা চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘উনি এখন ভালো আছেন। ওঁনার স্ত্রী-র সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এখন দ্রুততার সঙ্গে আহত সিআরপিএফ কর্মী সুস্থ হয়ে উঠুন এই প্রার্থনা করি।’
