উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি মেডিক্যাল কলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। অগ্নিকাণ্ডের জেরে অন্তত ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটই অগ্নিকাণ্ডের কারণ। এখনও অবধি ৪৪ জন সদ্যোজাতকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজে। দুর্ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজের নিওনেটাল ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিটে (এনআইসিইউ) শুক্রবার রাতে আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ভরে যায় চারদিক। হুড়োহুড়ি শুরু হয়। দমকলের ইঞ্জিন আসার আগেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ওয়ার্ডের কাচ ভেঙে শিশুদের উদ্ধার করা শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন পৌঁছয় হাসপাতালে। ঝাঁসির জেলাশাসক অবিনাশ কুমার জানান, ‘রাত ১০টা ৩৫ মিনিট নাগাদ আগুন লাগে। শিশুদের দুটি ইউনিটের মধ্যে একটিতে আগুন লাগে। সম্ভবত, শর্ট সার্কিটের ফলে আগুন লেগেছে। ৪৪টি শিশুকে নিরাপদে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে।’ ঝাঁসির জেলাশাসক আরও বলেন, ‘প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।’ আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখতে কমিটি গড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। এদিকে, ৪৪ জন শিশুর মধ্যে ১৬ জন শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত শিশুদের পরিজনরা। দুর্ঘটনায় মৃত শিশুদের পরিজনদের সমবেদনা জানিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লিখেছেন, ‘ঝাঁসির মেডিক্যাল কলেজে দুর্ঘটনায় শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক।’ আহত শিশুদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন তিনি। দুর্ঘটনার পরই ঝাঁসির উদ্দেশে রওনা দেন উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক ও স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রধান সচিব। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে মৃত শিশুদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। আহতদের চিকিৎসায় ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।