কলকাতা

দুর্যোগ মোকাবিলায় কলকাতা সহ রাজ্যের ১৪ জেলায় কড়া নির্দেশিকা জারি, প্রতি ব্লকে কন্ট্রোল রুম

বাংলায় গুলাবের দাপট সেভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু আবারও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। এই ঘূর্ণিবর্তের জেরে মঙ্গলবার ও বুধবার রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি হয়েছে। আর এই দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্যই কলকাতা পৌরনিগম সহ ১৪ টি জেলাকে সজাগ থাকার কড়া নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সোমবার কলকাতা পুরসভা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনা,পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া,হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান জেলাকে এই ৮ দফা নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। গত শনিবারই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী দুর্যোগ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে এই জেলাগুলির সঙ্গে পর্যালোচনামূলক বৈঠক করেন।

এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ৮ দফা নির্দেশিকা কি বলা হয়েছে –

১) প্রত্যেকটি জেলা ও পুরসভাগুলিতে এবং ব্লক হেডকোয়ার্টারগুলিতে সব সময়ে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে নজরদারি চালাতে হবে।

২) নিচু অঞ্চলগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরাতে হবে দ্রুত। কুইক রেসপন্স টিম প্রস্তুত রাখতে হবে জরুরি ওষুধের সঙ্গে। পাশাপাশি গাছ কাটার যন্ত্রপাতি সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে প্রস্তুতি রাখতে হবে।

৩) আশ্রয় শিবির হিসেবে সাইক্লোন শেল্টার, স্কুল-কলেজ প্রস্তুত রাখতে হবে যাতে সেই জায়গাগুলিতে বাসিন্দাদের করোনা বিধি মেনে রাখা যায়। তার সঙ্গে চিড়ে,বেবি ফুড, জলের যাবতীয় ব্যবস্থা রাখতে হবে এই আশ্রয় শিবির গুলিতে।

৪) উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে মৎস্যজীবীদের জন্য কড়া নির্দেশ দিতে হবে। সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে পর্যটকদের যাওয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। জেলাগুলি ফেরি সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

৫) বাসিন্দাদের সরানোর কাজ বৃষ্টি আসার আগেই করতে হবে। তার জন্য যাবতীয় পরিবহন সংক্রান্ত ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে।

৬) শহরাঞ্চল গুলিতে পাম্প প্রস্তুত রাখতে হবে যাতে জল জমার সঙ্গে সঙ্গে জল বের করা যায়।

৭) স্ট্রিটলাইটগুলি নজরদারি করতে হবে এবং যে ডিসট্রিবিউশন বক্সগুলি রয়েছে এবং বিদ্যুতের খুঁটিগুলি রয়েছে তা ঢাকা দিতে হবে। যাতে কোনও অযাচিত ঘটনা এড়ানো যায়।

৮) এর আগেইও ইলেকট্রিক পোস্ট নিয়েও কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যসচিব। সোমবার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের জারি করা নির্দেশিকার মাধ্যমে আরও একবার স্পষ্ট করল রাজ্য সরকার।