রাজস্থানে এক ইটভাটা থেকে ১৪ বছরের এক নাবালিকার পোড়া দেহাবশেষ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ফের তপ্ত হয়ে উঠেছে মরুরাজ্যের রাজনীতি। পুলিশের অনুমান, ধর্ষণ করার পরেই তথ্য-প্রমাণ লোপাটে কিশোরীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে তদন্ত। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বুধবার মায়ের সঙ্গেই ছাগল চরাতে গিয়েছিল ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরী। কিন্তু ছাগল চরাতে যাওয়ার খানিকবাদেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তন্নতন্ন করে সন্ধান চালিয়েও খোঁজ পাননি কিশোরীর। ফলে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির কাছাকাছি একটি ইটভাটা থেকে নিখোঁজ কিশোরীর পোড়া দেহাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে থাকা তিন যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ আধিকারিকদের সন্দেহ গণধর্ষণ করে ওই নাবালিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসী ও মৃত কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, কিশোরীর নিখোঁজের খবর জানানোর পরেও গয়ংগচ্ছ মনোভাব দেখিয়ে চলেছিলেন স্থানীয় থানার আধিকারিকরা। অকারণে সময় নষ্ট না করলে কিশোরীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হতো।