জেলা

শিলিগুড়িতে স্ত্রী-সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী

সাতসকালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হল স্বামী, স্ত্রী ও সন্তানের নিথর দেহ। আজ বৃহস্পতিবার এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল শিলিগুড়ি। দাবি অনেকদিন ধরেই তাঁর বাজারে বেশ কিছু ঋণ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারে চলছিল ঝামেলা। তার থেকে মুক্তি পেতেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিসের। তবে এর নেপথ্যে অন্য কারণ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ভক্তিনগর থানার উত্তর সমরনগর বউবাজার এলাকায়। নিহতদের নাম শ্যামল রায় (২৭), টুম্পা রায় (২০) ও পিন্টু রায় (৬)। এলাকার লোকজনের অনুমান, স্ত্রী ও সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। দু’ তিন বছর ধরে উত্তর সমরনগর বউবাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকত ওই পরিবার। শ্যামল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। টুম্পা সমরনগরের পাশেই শিমুলগুড়ির মেয়ে। সমরনগরে মাঝে কিছুদিন শাড়ির দোকান চালান। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির মালিক প্রথম তাঁদের দেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় থানায়। হাজির হয় পুলিশের বিশাল টিম। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্ধার্থ রুইদাস বলেন, ‘শ্যামল রাজমিস্ত্রির কাজ করত। টুম্পা মাঝে শাড়ির দোকান খোলে। তবে গ্রামের মধ্যে দোকান, তাই তা তেমন চলেনি। এর মধ্যে আজ দেখি শ্যামল ফ্যানের সঙ্গে দড়িতে ঝুলছে। স্ত্রী, বাচ্চা খাটের উপর গলা কাটা অবস্থায় পড়ে।’এলাকার লোকজন জানান, কখনও কোনও ঝামেলার আঁচ কেউ পায়নি। কেন এই ঘটনা তা নিয়ে ধোঁয়াশায় তাঁরা। তদন্ত শুরু করেছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (পূর্ব) রাকেশ সিং জানান, সব দিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।