জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি ‘বেআইনি’। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্মঘট তুলে নিয়ে কাজে ফিরতে হবে তাঁদের। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরই পদত্যাগ করতে শুরু করেছেন ডাক্তাররা। মধ্যপ্রদেশের ৬ টি মেডিকেল কলেজের ৩ হাজার জুনিয়র ডাক্তার গত সোমবার তাঁদের দাবিদাওয়া পূরণে ধর্মঘট করেন। তাদের ১৭ শতাংশ বৃত্তি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাদের সুরক্ষা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের বিনামূল্যে চিকিৎসার দাবিতে সরব হন। সেই সকল দাবি না পূরণ হওয়া পর্যন্ত তাদের এই অবস্থান চলবে বলে জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট তাদের এই ধর্মঘটকে ‘বেআইনি’ বলে অভিহিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে ফিরতে নির্দেশ দেয়। মহামারির সময় এরকম সিদ্ধান্ত বাঞ্ছিত নয় বলে মন্তব্য করেন হাই কোর্টের প্রধান বিচারক মহম্মদ রফিক আহমেদ এবং বিচারক সুজয় পাল। আর এরপরই পদত্যাগ করলেন তাঁরা। সংশ্লিষ্ট কলেজের ডিনদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।মধ্যপ্রদেশ জুনিয়ার ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডক্টর অরবিন্দ মীনা জানান, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে। যার ফলে তারা পরীক্ষায় বসতে পারবে না। তিনি এও জানান, মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের আপিল করবে। পাশাপাশি মেডিকেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ফেডারেশন অফ প্রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও এই আন্দোলনে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এই আন্দোলনকে রাজস্থান, বিহার, ছত্রিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, তেলঙ্গানা, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং এইমসের জুনিওর এবং সিনিয়র ডাক্তার এই ধর্মঘটের সমর্থন করেছেন।