সেই কবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিল, গরুর কুঁজে বিশেষ কিছু থাকে। সেই বিশেষ জিনিসই সূর্যের আলোকে সোনায় পরিণত করে। তাই গরুর দুধের রং হয় হলদে। আগামী বৃহস্পতিবারের পরীক্ষায় এই ধরনেরই কিছু জবাব লিখতে হবে পড়ুয়াদের। সেদিন দেশজুড়ে ‘গোবিজ্ঞান’-এর ওপর অনলাইনে পরীক্ষা দেবে কলেজের পড়ুয়ারা। এজন্য পাঁচ লক্ষ ১০ হাজার পড়ুয়া নাম নথিভুক্ত করে ফেলেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি দেশের ৯০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের চিঠি লিখেছে ইউজিসি (ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট কমিশন)। জানিয়েছে, পড়ুয়াদের যেন এই ‘গোবিজ্ঞান’-এ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বলা হয়। এই নিয়ে প্রচার করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকেই। পরীক্ষায় কী পড়তে হবে, তা জোগান দিয়েছে রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগই। তাদের ওয়েবসাইট থেকে মিলছে পঠনপাঠনের মেটিরিয়াল। কী লেখা রয়েছে তাতে? এই যেমন পরমাণু কেন্দ্রে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ থেকে রক্ষা করে গোবর। ভারত এবং রাশিয়ায় এই কাজে গোবর ব্যবহৃত হয়। ভোপালে গ্যাস দুর্ঘটনা থেকেও বাঁচিয়েছে গোবর। সূর্যরশ্মিকে শুষে নেওয়ার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে গরুর। সেজন্য তাদের দুধ, মূত্র, গোবর পুষ্টিকর।
২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় পশুপালন বিভাগের অধীনে এই রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ খোলা হয়। আয়োগেরই মস্তিষ্কপ্রসূত হল এই ‘গোবিজ্ঞান’। ৫ জানুয়ারি দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই অনলাইন পরীক্ষার ঘোষণা করেন রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান ভাল্লাভাই কাঠিরিয়া। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘এর মধ্যে বিজ্ঞানের বাইরে কিছু নেই। পুরোটাই বিজ্ঞানসম্মত। ভারতীয় গরুর গুরুত্ব প্রচার করতেই এই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।’