দেশ

নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত পঞ্চম ব্যক্তির সন্ধান মিলল কেরালায়, বাড়ছে আতঙ্ক

নিপা ভাইরাস ঘিরে ক্রমেই আতঙ্ক বাড়ছে কেরালায়। এই রাজ্যে আরও একজন আক্রান্তের খোঁজ মিলল। এর ফলে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, ২৪ বছরের এক স্বাস্থ্যকর্মী নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে কোঝিকোড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।  আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ৭০৬ জনের নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের সম্ভাবনায় তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। যাদের মধ্যে ১৫৩ জন স্বাস্থ্য কর্মী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নিপা ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই কোঝিকোড়েতেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। যা ঘিরে আতঙ্ক আরও বাড়তে থাকে। সংক্রমণ ঠেকাতে কোঝিকোড়ের ৭টি গ্রামকে ‘কনটেনমেন্ট জোন’ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম।

নিপা ভাইরাসের ক্ষেত্রে দেখা যায় কী কী উপসর্গ?

এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে যে যে উপসর্গ মূলত লক্ষ্য করা যায় সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট। তাৎপর্যপূর্ণভাবে করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রেও এই দুই উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও কফ,বমি ভাব, মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গগুলিও নিপা ভাইরাস আক্রান্তদের ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই লক্ষ্য করা যায়। এক্ষেত্রে জ্বর বাড়লে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তিরা বিলাপ করা শুরু করেন। তাঁদের খিঁচুনির মতো সমস্যা শুরু হয়। একেবারে শেষ পর্যায়ে স্মৃতি লোপ পেতে পারে নিপা আক্রান্তর। সংক্রামক এই অসুখে শ্বাসকষ্ট থেকে এনকেফ্যালাইটিস দেখা দিতে পারে৷ অনেকে পেশির যন্ত্রণা, তীব্র ক্লান্তির মতো উপসর্গেও আক্রান্ত হন৷ নিপা ভাইরাসের কোনও আলাদা করে চিকিৎসা হয় না। মূলত তাঁদের উপসর্গের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা করা হয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, বাদুড়ের থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। ১৯৯৮ সালে প্রথম মালয়েশিয়ায় এই ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। ২০০৭ সালে নদিয়ায় নিপা সংক্রমণে একই পরিবারের চার জনের প্রাণ গিয়েছিল। ২০০১ সালে শিলিগুড়িতে ছড়ায় নিপা সংক্রমণ।