৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণকে ঘিরে এই যুদ্ধ যুদ্ধ প্রস্তুতি রাজনৈতিক মহলে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলে ধরেছে। এখন এটা মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে বাংলার এই ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ ঘিরে কার্যত প্রতিটি আসনে একশো শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী নিশ্চিত করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সকালে যে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথা জানা গিয়েছিল তা শুধুমাত্র টহলদারীর জন্য আনা হচ্ছে। আজ কালের মধ্যেই এই ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভবানীপুর, সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে নামিয়ে দেওয়া হবে টহলদারির জন্য। বাকি ৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের আগে ধাপে ধাপে নিয়ে আসা হবে বাংলায়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বাংলায় আনা হচ্ছে তার মধ্যে ভবানীপুরে নামানো হবে ১৫ কোম্পানি বাহিনীকে। ১৮ কোম্পানি বাহিনী বরাদ্দ করা হচ্ছে জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য এবং ১৯ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে সামসেরগঞ্জের জন্য। এছাড়া রাজ্যে আসছেন দুজন পুলিশ পর্যবেক্ষক। ইতিমধ্যেই চলে এসেছেন একজন হিসাব পর্যবেক্ষক। শুধুমাত্র ভবানীপুরের জন্য একজন পুলিশ পর্যবেক্ষকও রাখা হচ্ছে। এবারের উপনির্বাচনে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ২৮৮টি বুথ থাকছে। সামসেরগঞ্জে থাকছে ৩২৯টি বুথ। জঙ্গিপুরে সেটাই ৩৬৩। এই সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে আগামিকাল থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা এই ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে টহল দেওয়ার কাজ শুরু করে দেবেন। এই ৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যে রয়েছেন সিআরপিএফ, সিআইএসএফ, বিএসএফ, এসএসবি ও আইটিবিপি-র জওয়ানরা।