চতুর্থ দফা ভোটের দিনে কোচবিহারের শীতলকুচিতে নিরস্ত্র জনতার উপরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনায় এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করলেন বিশিষ্টজনেরা। সোমবার নাট্যকর্মী শাঁওলি মিত্র, সঙ্গীতশিল্পী কবীর সুমন, নচিকেতা চক্রবর্তী, কবি জয় গোস্বামী, অভিনেতা দীপঙ্কর দে-ভরত কল, বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদবানির প্রাক্তন পরামর্শদাতা সুধীন্দ্র কুলকার্নি সহ সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৫৬ বিশিষ্ট ব্যক্তি এক যৌথ বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দাবির পাশাপাশি ওই ঘটনাকে পশ্চিমবঙ্গের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপরে হিংস্র আঘাত বলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। বিবৃতিতে শাঁওলি মিত্র-কবীর সুমনরা বলেছেন, ‘শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালিয়ে চার জন নিরীহ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে। যে কোনও মৃত্যুই বেদনাদায়ক। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী ‘আত্মরক্ষার্থে’ গুলি চালিয়ে থাকে, তাহলে তার সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করতে হবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বিনা প্ররোচণায় বাহিনী গুলি চালিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও নথি বা প্রমাণ জমা দিতে পারেনি। ফলে নিশ্চিত করে বলা যায়, শান্তিপূর্ণ ভোটারদের গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘নির্বাচনের প্রথম দিন থেকেই নির্বাচন কমিশন ভোটারদের প্রয়োজনে গুলি করার মতো নজিরবিহীন আদেশনামা জারি করেছে। নিরীহ মানুষদের সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা চালিয়েছে। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বাংলার মানুষকে হত্যা করার জঘন্য চক্রান্তে লিপ্ত। চার জন পশ্চিমবঙ্গবাসীর মৃত্যুতে আমরা শোকার্ত ও ক্রুব্ধ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অপসারণ দাবি করছি।’ বিবৃতিতে আরও যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন তাঁরা হলেন, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি, আবুল বাশার, সৈকত মিত্র, সুদেষ্ণা রায়, হরনাথ চক্রবর্তী, সুবোধ সরকার, সুজাত ভদ্র, কার্তিক দাস বাউল, শুভাপ্রসন্ন, দেবজ্যোতি বোস, অভিজিত্ মিত্র, ল্যাডলি মুখোপাধ্যায়, অনামিকা সাহা, সুভদ্রা মজুমদার, অশোকেন্দু সেনগুপ্ত।