আদিবাসীদের মারে সাব-ইনসপেক্টর ও যুবকের মৃত্যু ঘিরে থমথমে মধ্যপ্রদেশের মৌগঞ্জ। পুলিস এখনও পর্যন্ত ৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। পাশাপাশি বাকিদের খোঁজে চলছে চিরুনি তল্লাশি। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ে পুলিসের ডিজিপি মাকওয়ানা সহ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শনিবার মৌগঞ্জ জেলার গাদরা গ্রামের ঘটনা। এক যুবককে অপহরণের পর তাঁকে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল আদিবাসীর বিরুদ্ধে। এরপর মৃত যুবকের দেহ উদ্ধার ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। মহকুমা পুলিস আধিকারিক (এসডিপিও) অঙ্কিতা সুলিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিস সেখানে পৌঁছায়। গ্রামে ঢুকতেই পুলিসকে ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, তারপর আচমকাই লাঠিসোটা নিয়ে পুলিস বাহিনীর উপর হামলা চালায় বাসিন্দারা। প্রাণ বাঁচাতে পুলিসকর্মীরা ছুটে পালাতে থাকেন। কিন্তু তাঁদের তাড়া করে মারধর করা হয়। এসডিপিও অঙ্কিতা কোনওরকমে একটি বাড়িতে ঢুকে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে প্রাণে বেঁচে যান। প্রাণ হারিয়েছেন এএসআই রামচরণ গৌতম। আহত হয়েছেন কয়েকজন পুলিসকর্মী। এদিন রামচরণকে শেষ শ্রদ্ধা জানান পুলিসের শীর্ষ কর্তারা। মৌগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক প্রদীপ প্যাটেল ঘটনার পিছনে অবৈধ মাদক কারবারিদের দায়ী করেছেন। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে পুলিস প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
