শান্তিনিকেতনের প্রত্যন্ত গ্রাম তালতোড়। নির্জন জায়গায় একতলা বাড়ি। সপ্তাহখানেক আগে ওই বাড়িটি ভাড়া নেয় ছয় যুবক। রংমিস্ত্রি বলে পরিচয় দেয়। তাই কেউ সন্দেহের চোখে দেখেনি। কিন্তু ছবিটা বদলে গেল রবিবার ভোরে পুলিসের গোপন অপারেশনে। ছ’জন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ । ধৃতদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশের নাগরিক । বাকি দু’জন ভারতীয় । দীর্ঘদিন ধরেই শান্তিনিকেতনের তালতোরে একটি ভাড়া বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিল তারা । তাদের কাছ থেকে পিস্তল, বোমা তৈরি মশলা উদ্ধার হয়েছে । শান্তিনিকেতন থানার তালতোরে দিলীপ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া নিয়ে থাকত ওই দুষ্কৃতী দলটি। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে । ধৃতদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশের বাসিন্দা। পরিচয় গোপন করে শান্তিনিকেতনের ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল তারা । তাদের মধ্যে দু’জন ভারতীয় । ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ চারটি পিস্তল, বোমা তৈরির মশলা, সাতটা টাইমার ও তার উদ্ধার হয়েছে।পুলিস ধৃতদের জেরা করে জানতে পেরেছে, মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের এক বন্দিই বাংলাদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতী রফিক ফকির, মহম্মদ মুরাদ মুন্সি, মহম্মদ দুলামিয়া ও মহম্মদ বিলাল হোসেনকে ভাড়া করে। বাংলাদেশে তার এক পরিচিত রয়েছে। তার মাধ্যমেই বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের সুপারি দেওয়া হয়। শান্তিনিকেতন থানার খোসকদমপুরের সৈয়দ আনোয়ার আলি ও বোলপুরের মুলুকের বাসিন্দা শেখ কাজল তাদের থাকার ব্যবস্থা করে। ধৃতদের এদিন বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এসিজেএম অয়নকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের ১৪ দিন পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী ফিরোজ পাল বলেন, ধৃত বাংলাদেশিরা পাসপোর্ট, ভিসা দেখাতে পারেনি। তারা আদালতে সেকথা স্বীকারও করেছে।