‘দলে থেকে কাজ করতে পারছেন না’, ‘অপমানিত হচ্ছি‘ ৷ ফলে এবার বিজেপি ছাড়ার পথে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি জয় বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর ক্ষোভের কথা উল্লেখ করে আজ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মেল পাঠান তিনি । সেই মেলে বর্তমান বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের উপরে তাঁর ক্ষোভের কথা উল্লেখ করেন বলে খবর । প্রধানমন্ত্রীকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘হীরকজয়ন্তী’র নায়ক লিখেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর থেকে সাক্ষাতের সময় চেয়ে দু’বছর অপেক্ষা করছেন ৷ কিন্তু সাক্ষাৎ না পেয়ে খুব ব্যথিত হয়েছেন । রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করে জয় জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী নিজে তাঁকে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী সমিতির সদস্য করেছিলেন ৷ কিন্তু বিজেপির নতুন রাজ্য নেতৃত্বের টিম তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই পদে বসিয়েছিল । সেই রাজীবই বিজেপির গালে চড় মেরে তৃণমূলে যোগদান করেছেন ৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি রাজ্যের মানুষের কাছে বিজেপিকে পৌঁছতে অনেক পরিশ্রম করেছেন । সেই কাজ করতে গিয়ে অনেকবার বিরোধীদের আক্রমণের শিকারও হয়েছেন । অন্যদিকে তাঁর
কেন্দ্রীয় নিরাপত্তাও তুলে নেওয়া হয়েছে । এই ঘটনার পরে তিনি নিজেকে খুবই অবহেলিত বোধ করছেন । ২০১৭ সালে কলাইকুন্ডায় একই ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে নিজের কথা জানিয়েছিলেন তিনি । তারপরেই ১০ দিন বাদে তাঁকে জাতীয় কার্যসমিতির সদস্য করে ভারতীয় জনতা পার্টি । একইভাবে আজকের বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর থেকে বিজেপি ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি চেয়েছেন ৷ প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই ক্রমাগত বেসুরো সুর শোনা যাচ্ছিল বিজেপির এই নেতার গলায় । ভবানীপুর কেন্দ্রে নির্বাচনের আগেই থেকেই মুখ্যমন্ত্রী ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হওয়ার কথাও ঘোষণা করেন সোশ্যাল মিডিয়ায় । আসন্ন উপনির্বাচনগুলোতেও বিজেপির ভরাডুবির কথা বলে দলের রাজ্যের নেতৃত্বকে একহাত নেন তিনি । অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে তাঁকে দেখা যাচ্ছিল না । তা নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। সেসময়ই তাঁর চিকিৎসার জন্য অর্থের প্রয়োজন জানিয়ে তিনি মেল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে । কারণ চিকিৎসা করাতে গিয়ে তিনি প্রায় সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন । বিধানসভা ভোটের পরে বিজেপির থেকে একের পর নেতা যেভাবে তৃণমূলে যোগদান করছেন তাতে জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই পথে হাঁটতে চলেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ।