শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানের ড্রাগ মামলা নিয়ে তোলপাড় ফেলে দেওয়া দাবি করলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কাম্বোজ। যা নিয়ে মারাঠা রাজনীতিতে হইহই পড়ে গিয়েছে। একেবারে ছবি দেখিয়ে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট সামনে এনে, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেসেন্টেশন ডিসপ্লে করে আরিয়ান কাণ্ডে নতুন ঝড় বইয়ে দিয়েছেন মোহিত। গতকালই এই মামলায় নতুন তদন্ত অফিসার নিয়োগ করেছে এনসিবি সদর দফতর। সমীর ওয়াংখেড়ের জায়গায় আনা হল সঞ্জয় সিংকে। তিনি আজ দিল্লি থেকে মুম্বই পৌঁছেছেন। বিজেপি নেতা মোহিতের দাবি, চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে শাহরুখ খানের ছেলেকে। এর পিছনে কারা রয়েছেন, তাঁদের কী পরিচয়, কেন তিনি এমন দাবি করছেন তাও ব্যাখ্যা করেছেন মোহিত। এই বিজেপি নেতার বক্তব্য, শাহরুখের ছেলেকে ফাঁসিয়ে ওঁর থেকে টাকা লুঠ করার উদ্দেশ্যেই এত কাণ্ড করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে তাঁর আরও দাবি, এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক বিজেপি সহ এজেন্সির বিরুদ্ধে যা বলছে তা ভিত্তিহীন শুধু নয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁর কথায়, প্রতিদিন নবাব মালিক যা সব বলছেন এই গোটাটাই ওদের ব্লুপ্রিন্ট। আসলে ওরা চাইছে আসল জায়গাটা থেকে নজর ঘুরিয়ে দিতে। মোহিত কাম্বোজের দাবি, সুনীল পাটিল নামের এক ভদ্রলোক এই গোটাটার মাস্টারমাইন্ড। সুনীল পাটিল এনসিপি নেতা এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের ছেলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে দাবি তাঁর। একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট দেখিয়ে মোহিত দাবি করেছেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডিতে এই সুনীল পাটিলের এক পরিচিত অফিসার রয়েছেন। তাঁর নাম শ্যাম ডি’সুজা। সুনীল একদিন মেসেজ পাঠিয়ে শ্যামকে বলেন, এনসিবিতে তাঁর কোনও পরিচিত অফিসার রয়েছে কি না। থাকলে যেন যোগাযোগ করিয়ে দেন। তিনি একটা বড় খবর দেবেন, যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেবে। সেই শ্যাম নাকি তখন এনসিবি কর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কিরণ গোসাভির নম্বর দেন। যে টাক মাথা ভদ্রলোকের সঙ্গে শাহরুখ পুত্রের জেলে থাকার সময়ের সেলফি প্রকাশ হয়েছিল। তিনিই কিরণ। এরপরেই গোয়াগামী প্রমোদতরীতে অপারেশন চালায় এনসিবি। মোহিতের দাবি, গোটাটাই আগে থেকে সাজানো ছিল। ওদের আসল উদ্দেশ্য ছিল শাহরুখকে ব্ল্যাকমেল করে টাকা তোলা। কিন্তু তা না হওয়াতেই সমীরের বিরুদ্ধে রণংদেহি মেজাজে নামেন নবাব মালিক। কারণ ওদের টাকা লুঠের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মোহিতের এই দাবি নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ঝড় উঠে গিয়েছে। এনসিপি নেতা অমিত ওয়াদেকর বলেছেন, বিজেপি আইটি সেল এতদিন ধরে বসে এমন একটা চিত্রনাট্য মোহিতকে দিয়ে বলাল যা কেউ খাবে না। সবাই বুঝতে পারছে কোথা থেকে কী হচ্ছে। এর মধ্যেই তদন্ত অফিসার বদল হয়েছে আরিয়ান, মুনমুন ধামোচা, আর্বাজ মার্চেন্টদের ড্রাগ মামলায়।