দেশ

অন্ধ্রপ্রদেশে হড়পা বানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৭

টানা প্রবল বর্ষণে অন্ধ্রপ্রদেশে মৃত্যু হল মোট ১৭ জনের। বন্যার জলে ভেসে গিয়েছেন শতাধিক মানুষ। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নিখোঁজ। দুর্যোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে রায়লসীমায়। প্লাবিত চেয়েরু সংলগ্ন বহু গ্রাম। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধু কাড়াপা জেলাতেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় আটজনের। তিরুপতি এলাকার যে ভিডিও সামনে এসেছে সেটিও ভয়াবহ। দেখা গিয়েছে, প্রচুর পুণ্যার্থী জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের জেরে গতকাল থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছিল হাওয়া অফিস। সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করে গতকাল সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয় কাড়াপা, অনন্তপুর, চিত্তোর এবং কুরনুল জেলায়। গতকালই চেয়ুরু নদীর জল প্লাবিত হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। বন্যা পরিস্থিতির জেরে কাড়াপা ও অনন্তপুর এলাকার সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভেঙে পড়ে বহু ঘর-বাড়ি। উদ্ধারকাজে নামে জাতীয় ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। মুখ্যমন্ত্রীও বৃষ্টিকবলিত জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন। ত্রাণ বিলির পাশাপাশি তাঁদের উদ্ধার অভিযানে জোর দিতে বলেছেন। মৌসম ভবন আগেই জানিয়েছিল, আগামী কয়েকদিন তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র উপকূলে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জারি হয়েছিল বন্যার সতর্কতাও। তারপরও গতকাল কার্তিক পূর্ণিমা উপলক্ষে চেয়েরু উপনদীর তীরে নন্দালুরুর শিবমন্দিরে ভিড় করেছিলেন অনেকে। তখনই হড়পা বান আসে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় পুণ্যার্থীদের। পরে নন্দালুরুতে তিনজনের দেহ উদ্ধার হয়। এরপর আজ, শনিবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭-এ পৌঁছয়। এদিন সকালে উদ্ধার হয় আরও বেশ কয়েকটি মৃতদেহ। পরিস্থিতি রীতিমতো জটিল আকার ধারণ করেছে।  উদ্বিগ্ন রাজ্য-প্রশাসনও। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও দমকলের পাশাপাশি বায়ুসেনার বিমানও উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বহু জায়গায় রেল লাইনের উপর দিয়ে বইছে জল। আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে তিনটি বাসও। বৃষ্টির ফলে বিমান পরিষেবাতেও প্রভাব পড়েছে। আগামী ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত কাড়াপা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় প্রশাসনকে বন্যায় মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারপিছু  দু’হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।