খুনের চেষ্টার অভিযোগে আচমকাই সকালেই আগরতলার মহিলা থানার তরফে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুলে নিয়ে যাওয় হয় সায়নী ঘোষকে। পুলিশের তরফে এই ‘ইচ্ছাকৃত’ অনৈতিক মামলার প্রতিবাদে সায়নীর সঙ্গেই থানায় যান তৃণমূল কুণাল ঘোষ। জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। কাল ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর যাওয়ার আগেই আজ আগরতলায় গ্রেফতার হলেন সায়নী ঘোষ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময়েই আচমকা হামলা চালায় বিজেপি কর্মীরা। ইট দিয়ে মারধর করা হয় কুণাল ঘোষদের। হেলমেট পরে লাঠি নিয়ে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ইটবৃষ্টির পাশাপাশি, ভাঙচুর চালানো হয় একাধিক গাড়িতে। তার আগে হাতে লাঠি নিয়ে থানার বাইরে জড়ো হয় কয়েকজন হেলমেটধারী। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িও ভাঙচুর করেছে বিজেপি কর্মীরা। দু’দিন পরেই ত্রিপুরায় পুরভোট তার আগেই বিজেপির এই আক্রমণে আতঙ্কে তৃণমূল প্রার্থীরা। জানা গিয়েছে, থানার ভিতরে বিজেপি কর্মীরা হামলা চালালেও নিরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন পুলিশ। মাথায় হেলমেট পরে হামলা চালিয়েছে বিজেপি কর্মীরা, আর এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ত্রিপুরা তৃণমূলের সাত নেতা। আক্রান্ত তৃণমূল নেতাদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে, যার মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আর এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ত্রিপুরা তৃণমূল নেতৃত্ব। টুইট করে এই হামলার প্রতিবাদে ঘাসফুল শিবিরের তরফে লেখা হয়েছে, ‘ত্রিপুরা বিজেপির লজ্জা করা উচিত। বিপ্লব দেবের গুণ্ডারা কীভাবে আক্রমণ করছে দেখুন। পুলিশের সামনেই আক্রমণ করা হচ্ছে অথচ পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকায়। ত্রিপুরায় শাসন ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে।’ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। তিনি বলেছেন, ‘শনিবার তেলিয়ামুড়ার সভায় সায়নী নিজের গাড়ি থেকেই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন খেলা হবে। এর পরেই বিজেপি সমর্থকরা তার গাড়ি তাড়া করে। সেখানেই বিজেপি কর্মীদের গাড়ির ধাক্কা লাগে এক পথচলতি মানুষের। যার দায়ে সায়নীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে।’