হাওড়া জেলা সদরের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক ওয়াজুল খানকে খুব কাছ থেকে মাথায় গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন । গতকাল রাতে তৃণমূল নেতা বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা গুলি করে চম্পট দেয় । কে বা কারা গুলি করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয় । ওয়াজুলের ভাই গুড্ডু খান বলেন, “প্রতিদিন সন্ধেয় পুরনো বাড়ি থেকে নতুন বাড়িতে আসত দাদা ওয়াজুল । সেখানে রাত ১০টা অবধি তিনি থাকতেন । সেখানে সাধারণ মানুষ এসে তাঁদের সমস্যার কথা বলতেন । দাদা সে সব সমাধান করার চেষ্টা করতেন । গতকালও দাদা ওই সময়ে এসেছিলেন ।” তিনি আরও জানান, পুরনো বাড়ি থেকে নতুন বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৩ মিনিটের হাঁটা পথ । বাড়ি ফেরার সময় ৫-৬ জন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র সমেত তাঁকে ঘিরে ধরে এবং খুব কাছ থেকে তাঁর মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায় । ঘটনাস্থলে মারা যান ওয়াজুল । তবে পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট গুড্ডু খান ৷ তিনি জানান, পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসেছে এবং ২ জনকে গ্রেফতার করেছে ৷ বাকিদের তল্লাশি চলছে ৷ বিজেপি নেতা গুড্ডুর দাবি, এলাকার তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত লোকজনই তাঁর দাদাকে হত্যা করেছে । কারণ ওয়াজুলের জন্য এলাকাতে তোলাবাজি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল । এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক আছে কি না, সে বিষয়ে তিনি পরিষ্কার করে কিছু বলেননি ৷ ঘটনার প্রেক্ষিতে এফআই আর করা হয়েছে । এই দুর্ঘনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন হাওড়া সদর তৃণমূলের সভাপতি কল্যাণ ঘোষ । তিনি বলেন, “ওয়াজুল তৃণমূলের জেলার সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক এবং সহ-সভাপতি ছিলেন । পৌর নিগমের নির্বাচনের আগে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড দখল করতে বিজেপি আশ্রিত গুন্ডাদের দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছে । শেষ বিধানসভার নির্বাচনেও এই ওয়ার্ড থেকে শাসকদল সর্বোচ্চ লিড দিয়ে নন্দিতা চৌধুরীকে জিতিয়ে আনে । এই ওয়ার্ডে তাঁর নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সংগঠন ছিল ।” তৃণমূল সভাপতির অভিযোগ সংগঠনকে নষ্ট করতে এই চক্রান্ত করেছে বিজেপি ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিজেপি।