ত্রিপুরা পুরভোটে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দখলে ১৩টি পুরসভা ও ৯ নগর পঞ্চায়েত। তবে লড়াই করে পুরভোটে প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। তিন মাসের লড়াই ২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। এমনটাই দাবি করলেন দলের নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আমাদের নেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, ত্রিপুরাবাসীকে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, তাদের গণতন্ত্র দেওয়ার জন্যে যে লড়াই আমরা ৩ মাস করেছি তার আগামী দিনেও চলবে। ফল প্রকাশের পর ত্রিপুরার ভোট নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মাত্র ৩ মাসের মধ্যে রাস্তায় নেমে তৃণমূল কংগ্রেস ত্রিপুরার মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। মানুষও এতকিছু উপেক্ষা করে যতটুকু ভোট দিতে পেরেছে তাতেই তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে। মনে হয় ভারতে এমন নজির নেই যে মাত্র তিন মাস লড়াই করে ২৪ শতাংশ ভোট শেয়ার দখল করতে কেউ পেরেছে। সদ্য তৃণমূলে ফেরা রাজীব বলেন, বঙ্গ বিজেপির নেতারা অনেক বড়বড় কথা বলেন। তাঁদের বলি, দীর্ঘদিন লড়াই করে ২০১৮ সালে বাংলায় বিরোধী দলের ভূমিকায় এসেছেন। আর ত্রিপুরায় এত সন্ত্রাস উপেক্ষা করে প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে উঠে এসেছে তৃণমূল।। অবাধে ছাপ্পা ও সন্ত্রাসের পরও তৃণমূলকে রোখা যায়নি। আমাদের কাছে খবর আছে কোনও কোনও জায়গায় বিজেপি তার নিজের গড়ও বাঁচাতে পারেনি। কোথাও ৫ ভোটে, কোথাও ৯ ভোটে, কোথাও ২৫ ভোটে তৃণমূল হেরেছে। ত্রিপুরায় যদি যথাযত ভোট হতো তাহলে বিজেপি বোর্ড গঠন করতে পারতো না। রাজীব আরও বলেন, গত পুর নির্বাচনে এই আগরতলা পুর নির্বাচনে বিজেপি ১৪.০১ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। তারপর রাজ্যে তারা ক্ষমতায় এসেছে। আর আজকে ত্রিপুরা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনে ২০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জেনে রেখে দিন ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে ঠিক এই ভাবেই পরিবর্তন আসবে। যে ফল এবার পুর নির্বাচনে হয়েছে তাতে ত্রিপুরাবাসীকে আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রাজ্যের মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।