কলকাতা

কলকাতা পুরভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি

কলকাতা পুরভোটের ইস্তেহার প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি। সেই ইস্তেহারে অবশ্য তৃণমূলের একাধিক কর্মসূচিরই পুনরাবৃত্তি রয়েছে।  কলকাতার স্বাস্থ্য থেকে নিরাপত্তা, পরিবেশ থেকে সংস্কৃতি সমস্ত ক্ষেত্রে উন্নতির একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। রয়েছে দুর্গাপুজোকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরার জন্য বিশেষ পরিকল্পনাও। কলকাতা পুরভোটে বিজেপির এবারের স্লোগান ‘কলকাতা জিতবে, জিতবে বিজেপি’।  বিজেপি প্রকাশিত এই ইস্তাহারে রয়েছে বেশ কিছু চমক ৷ তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় মেট্রো, লোকাল ট্রেন, ট্রাম ও বাসের ক্ষেত্রে একটি স্মার্টকার্ড চালু হচ্ছে। সেই কার্ডেই এবার শহরবাসী গণপরিবহনে যাতাযাত করতে পারবে । দ্বিতীয় চমক হিসাবে রাখা হয়েছে, ১০ তোলার বিশেষ পার্কিং স্পেস । তৃতীয় চমক হিসাবে বর্ষাকালে জমা জলের সমস্যা মেটাতে ব্রিটিশ যুগের নিষ্কাশন ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করা হবে । এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের ‘হর ঘর জল’ প্রকল্প শহরের প্রতিটি বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে ৷ ভুয়ো ভ্যাকসিন বন্ধ করতে নাগরিকদের ঘরে ঘরে করোনা টিকা দেওয়া হবে । শব্দ দূষণ বন্ধ করতে 10টি স্মার্ট টাওয়ার বসানো হবে ৷ এছাড়া শহরের প্রতিটি বাড়িতে শৌচাগার তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে । এখানেই শেষ নয় ৷ দুই পাতার এই ইস্তাহারে প্রোমোটারের বিবরণ দিয়ে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে রিয়েল এস্টেট ক্রেতাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য পৃথক আইনি দল গঠন করার কথা বলা হয়েছে ৷ রয়েছে পৌরসভা পরিচালিত স্কুলগুলিতে কম্পিউটার এবং বিজ্ঞান গবেষণাগার সহ উন্নত পরিকাঠামো গঠন করার কথা । ভাবা হয়েছে ক্রীড়াপ্রেমীদের কথাও ৷ ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রশিক্ষক ও আধুনিক সাজ সরঞ্জাম সহ একটি ক্রীড়া কেন্দ্র নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে ৷ হকারদের সমস্যা মেটাতে আলাদা বিভাগ গঠন করা হবে । কালীঘাটের আদিগঙ্গা সংস্কার করা হবে । ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে বর্ষার আগে বাধ্যতামূলকভাবে ধোঁয়ার মাধ্যমে জীবাণুনাশক প্রক্রিয়া চালানো হবে । শহরের শব্দদূষণ মোকাবিলায় 10টি টাওয়ার স্থাপন করার কথা বলা হয়েছে । এছাড়া শ্মশান ও কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধির জন্য আলাদা একটি বিভাগ স্থাপন করা হবে ।

একনজরে দেখে নিন বিজেপির পুরভোটের ইস্তেহারের প্রতিশ্রুতিগুলি:

  • ইস্তেহারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলকাতা জিতবে, জিতবে বিজেপি’।
  • পাড়ায় পাড়ায় হবে সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র।
  • ‘হর ঘর জল প্রকল্প’ ও আম্রুত প্রকল্পে মাধ্যমে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে। বলে রাখা ভাল, ইতিমধ্যে কলকাতার সমস্ত বাড়িতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে।
  • বাড়ি-বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ। যদিও ইতিমধ্যে কলকাতার বয়স্কদের জন্য সেই প্রকল্প চালু করেছে তৃণমূল সরকার।
  • কলকাতাকে দূষণ মুক্ত করতে ১০টি স্মোগ টাওয়ার তৈরি হবে।
  • বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশনের বিশেষ ব্যবস্থা। কলকাতার জন্য নির্দিষ্ট বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে।
  • আদিগঙ্গার পুনরজ্জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি।
  • দুর্গাপুজোর প্রতিমা তৈরি থেকে বিসর্জন-প্রতিটি ঘটনা তুলে ধরার জন্য জাদুঘর তৈরি হবে। দুর্গাপুজোর প্রধান মণ্ডপগুলি ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য থাকবে সরকারি ট্যুর গাইড। রাজ্যের তৃণমূল সরকার দুর্গাপুজোর জন্য একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে। ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্য করা থেকে প্রতিমা বিসর্জনের সময় কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে।
  • পাড়ায়-পাড়ায় সংগীতের শিক্ষাকেন্দ্রে তৈরি হবে।
  • কলকাতা মেট্রো, ট্রেন, ট্রাম, বাস যাত্রীদের জন্য ইউনিফায়েড কার্ড আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।