দেশ

‘ভোট এলেই গঙ্গায় ডুব, ভোট মিটলেই গঙ্গায় লাশ!’, গোয়ার জনসভা থেকে মোদির নাম না করে আক্রমণ মমতার

বিজেপি শাসিত গোয়া থেকে তিনি গেরুয়া শিবিরের কড়া বিরোধিতায় সরব হলেন। মঙ্গলবার পানাজির জনসভা থেকে বিজেপি বিরোধী সুর আরও চড়ালেন মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় টেনে আনলেন একাধিক জাতীয় ইস্যু। লখিমপুর খেরি কৃষকমৃত্যু, বারাণসীতে কাশী বিশ্বনাথ করিডর উদ্বোধনে গিয়ে মোদির গঙ্গাস্নানের মতো বিষয়কে হাতিয়ার করলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তাঁর কটাক্ষ, ‘‌ভোটে এলেই গঙ্গায় ডুব দেন। মনে আসে ধর্মের কথা। আর ভোট শেষ হয়ে গেলে গঙ্গা অপবিত্র করেন। শেষকৃত্য করতে দেন না, কোভিডে মৃতদের দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দূষিত করে দেন। বিজেপি ভয়ঙ্কর দল।’‌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘পুজোপাঠ আমিও কম করি না। অনেক দুর্গাপুজো করি পশ্চিমবঙ্গে। পুজো ক্লাবগুলিকে অনুদান দিই। আমাকে কি বিজেপি থেকে অনুমতি নিতে হবে? বিজেপির থেকে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেটের কোনও প্রয়োজন নেই’।বিজেপিকে বিঁধতে গিয়ে লখিমপুর খেরিতে কৃষকমৃত্যুর প্রসঙ্গও টানলেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‌এতবড় একটা ঘটনা ঘটে গেল, অথচ তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী–কেউ কোনও বিবৃতি দেননি। যা হয়েছে, তাতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।’‌ এদিকে, গোয়ায় তৃণমূলের হাত শক্ত করল মহারাষ্ট্রবাদি গোমন্তক পার্টি। বিজেপির জোট ছেড়ে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল তারা। মঙ্গলবার পানাজিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জির জনসভা থেকে এই জোটের ঘোষণা হল। সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘোষণা, ‘‌আমাদের জোট দেখে বিজেপি ভয় পেয়েছে।’‌ নাম না করে কংগ্রেসকে খোঁচা, ‘‌ভোট কাটবেন না। গোয়ায় আমরাই জিতব। আমরাই সরকার গড়ব।’‌ পানাজির সভাতে সভাতে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রবাদি গোমন্তক পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। জনসভা থেকে মমতা বলেন, ‘‌তৃণমূল–এমজিপি একসঙ্গে লড়াই করবে। বিজেপিকে হারাতে জোট বাঁধুন।’‌ তৃণমূল–এমজিপি জোটকে ‘যৌথ পরিবার’ বলেও উল্লেখ করলেন তিনি। এই জোট যে কেবল আসন সমঝোতার জোট নয়, তাও সভা থেকে স্পষ্ট করে দেন মমতা। গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন যাতে তাঁরা এমজিপি–র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ইস্তেহার তৈরি করেন। সভা থেকে কংগ্রেসকে মমতার কড়া বার্তা, ‘‌যারা বিজেপি বিরোধিতা করছেন তাঁরা আমাদের সঙ্গে আসুন। আর না এলেও ভোট কাটবেন না।’‌ গোয়ায় তৃণমূলই ‘আসল বিকল্প’ বলে দাবি করেন তিনি।