উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র ৷ বিশেষ তদন্তকারী দল এই রিপোর্ট দেওয়ার একদিন পরই এই নিয়ে উত্তাল হল সংসদ ৷ কেন্দ্রকে নিশানা করে দিনভর আক্রমণ শানালো বিরোধীরা ৷ লখিমপুর খেরির হিংসায় মূল অভিযুক্ত আশিস মিশ্র টেনির বাবা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের পদত্যাগের দাবিতে সরব হয় কংগ্রেস ও অন্যান্য দলগুলি ৷ তুমুল বিক্ষোভের জেরে সারাদিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন৷ উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে আলোচনা চেয়ে আজ রাজ্যসভায় মুলতুবি প্রস্তাব পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ দীপেন্দ্র সিং হুদা৷ এই নিয়ে আলোচনা চেয়ে লোকসভায় সরব হন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি ৷ অবিলম্বে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনির ইস্তফা দাবি করে রাহুল বলেন, লখিমপুর খেরিতে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে তা নিয়ে তাঁকে বলতে অনুমতি দেওয়া উচিত ৷ রাগার কথায়, “মন্ত্রী ওই ঘটনায় জড়িত এবং বলা হচ্ছে যে এটা একটা ষড়যন্ত্র ৷ যে মন্ত্রী কৃষকদের হত্যা করেছে, তাঁর হয় ইস্তফা দেওয়া উচিত, নয়তো তাঁকে শাস্তি দেওয়া উচিত । সংসদের উভয় কক্ষে অধিবেশন শুরু হতেই হই-হট্টগোল শুরু করে বিরোধীরা ৷ হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে বিরোধী দলগুলি ৷ প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “মোদি, টেনি কো বরখাস্ত করো ৷” তুমুল বিক্ষোভের জেরে প্রথমে দুটো পর্যন্ত এরপর সারাদিনের জন্য মুলতুবি করে দিতে হয় অধিবেশন ৷ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, এই বিষয়ে আলোচনার জন্য কক্ষের কাজকর্ম বন্ধ রাখার তিনি অনুমতি দেবেন না ৷ রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এই নিয়ে বলতে উঠলে তাঁকে থামিয়ে দেন বেঙ্কাইয়া নাইডু ৷ দুই কক্ষেই আলোচনার দাবিকে খারিজ করার যুক্তি হিসেবে সরকারের তরফে বলা হয়, বিচারাধীন কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না ৷