করোনার নয়া স্ট্রেন ওমিক্রনের ছড়িয়ে পড়ার গতি দ্রুত হলেও এটি ডেল্টার মতো ক্ষতিকারক নয়, এমনই দাবি করা হচ্ছিল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৷ তবে এই ধারণার বশবর্তী হয়ে এখনই আশ্বস্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথনের দাবি, করোনার অন্যান্য স্ট্রেইনের থেকে ওমিক্রনের প্রভাব কম ক্ষতিকারক, এখনই তা বলার সময় আসেনি ৷ নয়া এই ভ্যারিয়েন্ট বহু মানুষকে অসুস্থ করে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তিনি ৷ ওমিক্রন বেশি দ্রুত গতিতে ছড়ানোর ক্ষমতা রাখে বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা ৷ তার প্রমাণও মিলেছে বিভিন্ন দেশে ৷ সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে, আমেরিকায় গত এক সপ্তাহে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ শতাংশ থেকে এক লাফে বেড়ে ৭৩ শতাংশ হয়ে গিয়েছে ৷ ব্রিটেনেও লাফিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দাবি করা হচ্ছিল যে, ডেল্টার প্রভাব যতটা ক্ষতিকারক ছিল, তার থেকে তুলনায় কম ক্ষতিকারক ওমিক্রন ৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জেনেভার সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা যদি নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকি এবং এটা ধরে নিই যে এটা একটা মৃদু ভ্যারিয়েন্ট, এর থেকে কঠিন রোগ হবে না – তাহলে তা সম্ভবত বোকামি হবে ৷ কারণ আমার মতে এই স্ট্রেইনে আক্রান্তের সংখ্যা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর অত্যধিক চাপ সৃষ্টি হবে৷” তিনি আরও বলেন, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকার একটি অংশের তথ্যের উপর ভিত্তি করে ধারণা করা হয়েছিল যে এই ভ্যারিয়েন্টের প্রভাব মৃদু ৷ তবে জনসংখ্যার মধ্যে যে ভাবে এটি ছড়াচ্ছে, তাতে সেই ধারণার বশবর্তী হয়ে থাকলে তা বিভ্রান্তিকর হতে পারে ৷’’