মহেশতলা সম্প্রতি উড়ালপুলে নিয়ম ভেঙে হঠাৎ উঠে গিয়েছিল একটি ট্যুরিস্ট বাস। বাইক ওঠারও নিয়ম নেই। তবুও নিয়ম ভেঙে সম্প্রীতি উড়ালপুলে উঠে পড়েছিল বাস ও বাইক। আর দ্রুতগামী ওই বাসের মুখোমুখি ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজনে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তিনজনই একটি বাইকে ছিলেন। মৃতদের মধ্যে এক মহিলা-সহ এক শিশুও রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই এক পরিবারের সদস্য। জানা গিয়েছে, তিনজন একই মোটরবাইকে তিনজন একটি বিয়েবাড়ি যাচ্ছিল। সেসময় সম্প্রীতি উড়ালপুলের উপর উল্টোদিক থেকে আসা একটি বাস সরাসরি ধাক্কা মারে ওই বাইকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ধাক্কার অভিঘাতে বাইকটি ছিটকে গিয়ে আরও এক বাইকে ধাক্কা মারে। ওই বাইক আরোহীও গুরুতর আহত হয়। দ্রুতই পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দারা অ্যাম্বুলেন্স করে আহতদের বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেছে। এখন প্রশ্ন উঠছে কীভাবে পুলিশের নজর এড়িয়ে ওই বাসটি সম্প্রীতি উড়ালপুলে উঠল। জানা যাচ্ছে, একবালপুরের বাসিন্দা মহম্মদ ফিরোজ তাঁর স্ত্রী নাগমা খাতুন এবং ছেলে ফারদিনকে নিয়ে বাইকে চেপে তারাতলা-বজবজ সংযোগকারী সম্প্রীতি উড়ালপুল ধরে বিয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। শুক্রবার বেলা ২টো নাগাদ তাঁর বাইকে মুখোমুখি ধাক্কা মারে একটি বাস। রাস্তায় ছিটকে পড়েন মহম্মদ ফিরোজ, তাঁর স্ত্রী ও সন্তান। বাইকটি ছিটকে গিয়ে আরও একটি বাইকে ধাক্কা মারে। তাতে আমতলার বাসিন্দা পঙ্কজকুমার মণ্ডল নামে ওই বাইক আরোহী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের