উত্তরপ্রদেশের সুগন্ধী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত প্রায় ২০০ কোটি নগদ অর্থ বিজেপির টাকা নয় ৷ শুক্রবার জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে একথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ৷ তাঁর সাফ কথা, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েই ওই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার করেছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের সরকারি আধিকারিকরা ৷ শুক্রবার বিরোধীদের তোলা এই অভিযোগেরই জবাব দেন নির্মলা ৷ তিনি বলেন, ‘‘সুগন্ধী ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যে নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে, তা মোটেই বিজেপির টাকা নয় ৷ বস্তুত, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্কই নেই ৷ নির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই পীযূষের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছিলেন সরকারি আধিকারিকরা ৷ তাতেই মেলে এই সাফল্য ৷’’ এই ঘটনায় পাল্টা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সপা নেতা অখিলেশ যাদবকে নিশানা করেন নির্মলা ৷ তিনি বলেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা অখিলেশকে প্রবল ধাক্কা দিয়েছে ৷ আর সেই কারণেই বিজেপিকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কাঠগড়ায় তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷’’ এই প্রসঙ্গে নির্মলা এদিন আরও বলেন, ‘‘উদ্ধার হওয়া টাকার মালিক কে, সেটা আপনারা কীভাবে জানলেন ? আপনি কি টাকার মালিকানার অংশীদার ? কারণ, একমাত্র অংশীদারের পক্ষেই টাকার মালিকের পরিচয় জানা সম্ভব ৷’’ একইসঙ্গে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে নির্মলার প্রশ্ন, এত বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলেই তাতে রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ বিরোধীরা বলছেন, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিজেপি নাকি এই অভিযান করিয়েছে ৷ কিন্তু, সরকারি আধিকারিকদের অভিযানে যদি কোনও টাকা উদ্ধার না হত, তাহলেও কি বিরোধীরা একই কথা বলতেন ? পাশাপাশি, এই সাফল্যের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের বাহবা দিয়েছেন নির্মলা ৷ তাঁর সাফ কথা, সরকারি কর্মী ও আধিকারিকরা যে তাঁদের কর্তব্য পালনে অত্যন্ত তৎপর, এই অভিযানের সাফল্যই তার প্রমাণ ৷