শিলিগুড়ি পৌরনিগমের নির্বাচনের ইস্তেহারকে ‘সংকল্প পত্র’ হিসেবে প্রকাশ করল গেরুয়া শিবির। সেই সংকল্প পত্রে ভয়, দুর্নীতি ও কাটমানি মুক্ত বোর্ড গড়াই শিলিগুড়ি পৌরনির্বাচনে লক্ষ্য বিজেপির। ‘সংকল্প পত্রে’ নাগরিক পরিষেবাকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ মঙ্গলবার শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করে গেরুয়া শিবির। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, ফাঁসিদেওয়ার বিধায়ক দুর্গা মুর্মু-সহ অন্যান্যরা। ইস্তেহারে দূষণমুক্ত নদী, শহরের পরিবেশ, পরিশ্রুত পানীয় জল-সহ সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ে জানানো হয়েছে। কিন্তু, সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি পৌর এলাকা এবং এলাকা সংলগ্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর। শিলিগুড়ি সংলগ্ন দার্জিলিং মোড়ের যানজট, মাটিগাড়া থেকে সেবক 4 লেন এবং শিলিগুড়ি পৌর এলাকার চারপাশ দিয়ে রিং রোড তৈরি করা প্রাথমিক লক্ষ্য বিজেপির। ক্ষমতায় আসলে যানজট সমস্যা নিরসনে শহরে উড়ালপুল এবং পার্কিং-এর সুব্যবস্থা করাই লক্ষ্য হবে গেরুয়া শিবিরের। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, “নির্বাচন আসলেই এখানকার ব্যবসায়ীরা ভয়ে ফোন তোলা বন্ধ করে দেয়। এই সরকার কাটমানির সরকার। আমাদের লক্ষ্য হবে ভয়মুক্ত, দুর্নীতি ও কাটমানি মুক্ত পরিষেবা চালু করা। পাশাপাশি শিলিগুড়ি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার সেজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করলেও শিলিগুড়িতে প্রচুর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। ক্ষমতায় আসলে আগামিদিনে আরও উন্নয়ন করব আমরা।”