‘বিদ্বেষপূর্ণ’ মনোভাব থেকেই সন্ধ্যা মুখোপাধ্য়ায়কে পদ্মশ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্ত। আজ সাংবাদিক বৈঠকে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী দেওয়ার সিদ্ধান্তে ঠিক এই ভাষাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র নিন্দা করলেন কবীর সুমন। কবীর সুমন ছাড়াও এই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আবুল বাশার, শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য, সুদেষ্ণা রায়, অনন্যা চক্রবর্তী মতো বিশিষ্টরা। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের পদ্মশ্রী প্রত্যাখ্যান নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গতকালই কবীর সুমন জানিয়ে ছিলেন, ‘গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের ভারতরত্ন পাওয়া উচিৎ । যে ভারত সরকার গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখালো আমি কবীর সুমন, তাদের জুতো পেটা করতে চাই। আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া এটাই। আমার এ মন্তব্য শোনার পর কেউ গ্রেপ্তার করতে পারেন। মানহানির মামলা করতে পারেন। তাতে আমি বিন্দুমাত্র ভয় পাচ্ছি না। বাংলার সন্তান আমি। নিজেকে বাঙালি বলতে গর্ব বোধ করি। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় সারা বিশ্বের বাঙালির গর্ব। তাঁকে ছোট করে বাঙালিকে হেয় করলো এই সরকার। রাম শ্যামা যদু মধু পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ। আর গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় স্রেফ পদ্মশ্রী!? এই কেন্দ্রীয় সরকার নির্লজ্জ নয় তদুপরি বেহায়া’ সাংবাদিক বৈঠকেও কবীর সুমনের গলায় শোনা তাঁর গলায়। কবীর সুমন জানান, “বিদ্বেষ থেকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। শ্বেতাঙ্গরা অন্তত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নোবেল পুরস্কারটা দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা অন্য কিছু বিচার করেননি। এই কলকাতা শহরে দুই জন বসে আছেন যাঁরা পদ্মভূষণ পেয়েছেন। তাঁদের কেরিয়ারটা দেখুন। আর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কেরিয়ারটা দেখুন। এই বয়সে এসে ধাক্কা খেলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।”