সিবিআই নয়, আপাতত রাজ্য সরকার গঠিত সিটের হাতেই থাকল আনিস মৃত্যুরহস্যের তদন্তভার। একই সঙ্গে আনিসের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট৷ পাশাপাশি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য আনিসের মোবাইল ফোনও সিট-এর হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নিহত ছাত্রনেতার পরিবারকে নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ৷ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ, উত্তর ২৪ পরগনার ডিস্ট্রিক্ট জজ সিটের তদন্ত তদারক করবেন। সেইসঙ্গে দ্বিতীয়বারের ময়নাতদন্ত ও মৃতের মেবাইল ফোন পরীক্ষাও হবে তাঁর তত্ত্বাবধানে। এখানেই শেষ নয়, সংরক্ষণ করতে হবে মৃতের ভিসেরা। পাশাপাশি আনিসের মোবাইল ফোনটি মামলাকারীর প্রতিনিধি বা তদন্তকারী অফিসারের (আইও) প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সিল করে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হবে হায়দরাবাদে। দ্রুত কাজ শেষ করতে অনুরোধ করা হয়েছে পরীক্ষাগারের অধিকর্তাকে। পাশাপাশি, কারা সেদিন আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল, তা নিশ্চিত করতে টিআই প্যারেডের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। আনিসের পরিবারকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। দু’সপ্তাহের মধ্যে সিটকে রিপোর্ট দিতে বলেছে হাইকোর্ট। ১০ মার্চ পরবর্তী শুনানি। আনিসের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত। সেই প্রেক্ষিতে ২১ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি দ্রুত আদালতের হস্তক্ষেপ প্রার্থনা করেন। আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলাটি গ্রহণ করে। তিনদিনের মধ্যে ওই মৃত্যু সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করতেও বলা হয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপেই সিট গঠন করে রাজ্য প্রশাসন। এদিনের শুনানিতে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, পুলিসি অনুসন্ধানে অভিজ্ঞদের নিয়েই সিট গঠন করা হয়েছে। সিটের সদস্যদের সকলেরই সিআইডিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এমনকী এই দলে সিআইডির বিভিন্ন ডিভিশনের আরও সাতজনকে রাখা হয়েছে। আনিসের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবি তুললেও আদালত কিন্তু এদিন কোনও অভিমত না দিয়ে আপাতত সিটের তদন্তেই আস্থা রেখেছে।