এখনও ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন শতাধিক বাঙালি । তাঁদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইউক্রেন নিয়ে সর্বদল বৈঠক চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি চান এই নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুক কেন্দ্রীয় সরকার।এখনওএই মুহূর্তে ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন শতাধিক বাঙালি । তাঁদের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইউক্রেন নিয়ে সর্বদল বৈঠক চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। তিনি চান এই নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুক কেন্দ্রীয় সরকার। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর চিঠি লিখেছেন, বর্তমানে এক আন্তর্জাতিক সংকটের মুখোমুখি আমরা। তাই এই সময়ে সব মতভেদ পাশে সরিয়ে রেখে একসুরে কথা বলা উচিত। ইউক্রেন নিয়ে আমাদের বিদেশনীতির প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা বিশ্ব শান্তি ও আগ্রাসন নীতির বিপক্ষে। আশাকরি এই নীতির উপরে ভিত্তি করেই আপনি আমাদের নেতৃত্ব দেবেন। ইউক্রেনে আটক ভারতীয় ও পড়ুয়াদের ফেরাতে আশাকরি আরও তত্পর হবে কেন্দ্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমি আপানার পাশে রয়েছি। পাশাপাশি এই আন্তর্জাতিক সংকটের সময়ে পরিস্থিতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সর্বদল বৈঠক ডাকা যায় কিনা তা নিয়ে আপনাকে বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি। দুনিয়ার এক বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এই সংকটের এক শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য ভারতের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী এও লিখেছেন এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন পরিবারগুলির পাশে যেন তিনি দাঁড়ান। এ দিনের লেখা চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইউক্রেনে আটকে থাকা পড়ুয়াদের দ্রুত দেশে ফেরানো জরুরি ৷ যদিও পরিস্থিতি সবটা প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে নেই । এই অবস্থায় দেশ এবং দেশবাসীর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা। একই সঙ্গে জানিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সরকারের পাশে থাকছেন তিনি । তবে এই মুহূর্তে বহু ছাত্র-ছাত্রী ইউক্রেনে আটকে রয়েছে । ওদের যাতে দ্রুত উদ্ধার করা যায় সেই কারণেই এই চিঠি । এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন বর্তমানে বহির্বিশ্বে যে সংকট তৈরি হয়েছে, সেক্ষেত্রে ভারতের অবস্থান কী হওয়া উচিত, তা নিয়ে যত শীঘ্র সম্ভব সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা জরুরি । এখানে তিনি এও জানাতে ভোলেননি বর্তমানে ইউক্রেন ও রাশিয়াকে কেন্দ্র করে যে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে প্রত্যেক ভারতবাসীর ন্যায় তিনিও উদ্বিগ্ন । তবে এটা দেশের কূটনৈতিক বিষয় । এখানে আলাদা করে রাজনীতি করতে তিনি চান না । আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান এখানে সরকার সবপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে চলুক।