কলকাতা

উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচারের যাওয়ার আগে মোদিকে তোপ মমতার

উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে অখিলেশ যাদবের দলের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারের জন্য বুধবার বিকালে বারাণসীর উদ্দেশে রওনা করার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ১১ হাজার ২৫টি বুথের মধ্যে হাতে গোনা ৭টি থেকে অভিযোগের খবর এসেছে তাঁর কাছে ৷ তাই গত রবিবার রাজ্যের ১০৮টি পৌরসভা নির্বাচনে যে হিংসার কথা সামনে আসছে, তা কতিপয় সংবাদমাধ্যমের কুৎসা মাত্র ৷ পৌরসভা নির্বাচনে সবুজ সুনামির সাক্ষী হয়েই শহর ছাড়লেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তার আগে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এমনই অভিযোগ করে গেলেন তিনি ৷ আগামিকাল বারাণসীতে সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার সারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ নরেন্দ্র মোদির গড়ে উড়ে যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, মানুষের আশীর্বাদ নিয়েই উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন তিনি ৷ গণতন্ত্রের নামে প্রহসন ৷ বিরোধীদের এই দাবিকে কার্যত ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন বলেন, “মানুষ উৎসবের মেজাজে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন ৷ এই উৎসবে মানুষকে যত বেশি করে সামিল করা যাবে তত বেশি করে গণতন্ত্র প্রাণবন্ত এবং সঞ্জীবিত হবে ৷” মমতা জানান, নির্বাচনের দিন তাঁর কাছে অভিযোগের খবর এসেছে হাতেগোনা কয়েকটি কেন্দ্র থেকে ৷ এর মধ্যে দু’টিতে ইভিএমের সমস্যা ছিল ৷ এরপর বিভিন্ন জেলার নাম ধরে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রশ্ন, এইসব জেলা থেকে তাদের কাছে কোনও অশান্তির খবর এসেছে কি না ৷ পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের মানুষ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করত পারায় খুশি মমতা জানান, জিটিএ নির্বাচনটাও যত দ্রুত সম্ভব করিয়ে দেবেন তিনি ৷ তবে জয়ের উচ্ছ্বাসের মধ্যেও সাবধানী মমতা দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “যত জিতব আমাদের তত নম্র হতে হবে ৷” সেইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন সামনেই মাধ্যমিক তাই সেলিব্রেশন যেন মাত্রা না-ছাড়ায় ৷ পাশাপাশি ইউক্রেনে আটকে ভারতীয় পড়ুয়াদের কথা ভেবে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলে প্রশ্ন করেন, “তিন-চার মাস আগে যখন প্রধানমন্ত্রী সবটাই জানতেন তবে আগে থেকে কেন ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হল না ৷ তাহলে ছেলেমেয়েগুলোকে বাঙ্কারে কাটাতে হত না ৷ রোমানিয়ার বর্ডারে দাঁড়িয়ে থাকতে হত না কিংবা খাবারের খোঁজে বেরিয়ে প্রাণ হারাতে হত না ৷” ইউক্রেনে ঠিক কতজন বাংলার পড়ুয়া এখনও আটকে রয়েছে ? এ ব্যাপারে বিদেশমন্ত্রক সহযোগিতা না-করলেও রাজ্য সরকার সমস্ত হেল্পলাইন চালু করে সমস্ত চেষ্টা জারি রেখেছে বলে জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷