সোমবার ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে সাফ জানিয়ে দিলেন, ইডি-সিবিআই দিয়ে আমায় দমিয়ে রাখা যাবে না। তিনি এও বলেন, এর আগেও তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি এসেছিলেন। সোমবারেও তাঁকে হাজিরা দেওয়ার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনে তিনি এসেছিলেন। আগামী দিনেও আসবেন। বাড়িয়ে দেবেন সহযোগিতার হাত। ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে এদিন তিনি ক্ষোভ উগড়ে দেন। কাটা কাটা কথায় বুঝিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা চলছে মোদি-অমিত সরকারের নির্দেশে। গণতান্ত্রিকভাবে লড়তে না পেরে বিজেপি এখন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে। অভিষেক বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ১০ পয়সার দুর্নীতির কোনও প্রমাণ পেলে বিচারের কোনও প্রয়োজন নেই। ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে রাখবেন। স্বেচ্ছায় সেখানে গিয়ে মৃত্যুবরণ করব। ‘ তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই ইডি-সিবিআইকে কাজে লাগানো হচ্ছে। কিন্তু ইডি, সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখিয়ে আমার মাথা নত করা যাবে না। আমি অন্য মেটেরিয়াল। নিজের লক্ষ্যে অবিচল থাকব। জেদ ততই বাড়বে। একটা কথা জেনে রাখবেন, সবাই মেরুদণ্ডহীন হয় না। যারা ভাবছেন এই ভাবে আমাকে বা আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে, তারা মূর্খের স্বর্গে বাস করছে। নাম না করে মোদি সরকারকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ভোটে লড়তে না পেরেই ইডি-সিবিআইকে লেলিয়ে দেওয়া হয়। যখন কোনও নির্বাচন আসে তখনই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলি অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সামনেই রয়েছে বালিগঞ্জ এবং আসানসোল কেন্দ্রের উপনির্বাচন। তাই আমাকে পরিকল্পিতভাবে আমাকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
সেই সঙ্গে অভিষেকের প্রশ্ন, কলকাতাতেও ইডি-সিবিআই-য়ের দফতর রয়েছে। ডাকলে সেখানেও আমায়ে ডাকতে পারত। সেখানে না ডেকে আমায় দিল্লি ডেকে পাঠানো হল। এটা হেনস্থা ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি আরও বলেন, যাদের বিরুদ্ধে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে চিটফাণ্ডের মালিকরা বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে, তাদের একবারের জন্য ডাকা হচ্ছে না। বিজেপিকে ওয়াংশিন মেশিনের সঙ্গে তুলনা করে অভিষেক বলেন, দুর্নীতিগ্রস্তরা এই দলে এলে সবাই যাবতীয় দুর্নীতি থেকে মুক্ত হয়ে যান।