বৃহস্পতিবার সকালেই হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে করে রামপুরহাটে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে প্রথমে তাঁর যাওয়ার কথা ছিল সার্কিট হাউসে। কিন্তু সেখানে পৌঁছেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন প্রথমে তিনি বকটুই গ্রামেই আগে যাবেন। সেই মতো রামপুরহাটের সার্কিট হাউস হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড থেকে সরাসরি বকটুই গ্রামে গিয়ে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে প্রথমে তিনি কথা বলেন সিটের সদস্যদের সঙ্গে। তারপরেই তিনি কথা বলেন বকটুই গ্রামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্বজনহারাদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীকে হাতের কাছে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনহারারা। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘ভীষণ ভয়াবহ ও মর্মদায়ক ঘটনা। ভাবতে পারিনি এইরকম নৃশংস ঘটনা ঘটতে পারে কখনও। ভাদু খুন হওয়ার পরে ১০টা বাড়িতে আগুন ধরানো হয়। শুধু কয়েকটা লোকের জন্য অশান্তির আগুন। রামপুরহাটের ঘটনায় আক্রান্তদের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও জানান, আহতদের ৫০ হাজার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ৬০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ মহিলাকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তিন জখম শিশুকে ৫০ হাজার করে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছন তিনি। বলেন, ‘মৃত্যুর বিকল্প কখনই টাকা হয় না। জীবনের বিকল্প কখনও চাকরি হয় না। তবুও যারা চলে যান, তাঁদের পরিবারকে বেঁচে থাকতে হয়। আর সেই কারণেই এটা আমাদের মানবিক কর্তব্য।’ এদিন প্রত্যেক পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা দেওয়া ছাড়াও, যাঁদের ঘর পুড়ে গিয়েছে তাঁদের ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ১০টি পরিবারকে ঘরবাড়ি সাজানোর বিষয়ে কোনও কার্পণ্য করবেন না। প্রয়োজন হলে আরও ১ লক্ষ টাকা দেবেন।’