এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার শিলিগুড়িতে সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে বলেন, আমি তিনদিন পাহাড়ে থাকব৷ পাহাড়ে থেকে জিটিএ নিয়ে আলোচনা করব৷ আমি চাই জিটিএ নির্বাচন হোক৷ওই নির্বাচনটা মে-জুনে করতে চাই৷’ তাৎপর্যপূর্ণভাবে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের আগে কালিম্পয়ের নির্দল বিধায়ক চিঠি লিখে জিটিএ থেকে কালিম্পংকে আলাদা করার দাবি জানিয়েছিলেন৷ লিখেছিলেন, জেলার মর্যাদা পেলেও কালিম্পয়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নেই৷ জেলা পরিষদ নেই৷ এ সব করতে হবে৷ এ দিন সরকারি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দেন, তিনিও পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পক্ষপাতী৷ কিন্তু এ জন্য আইন সংশোধন করতে হবে৷ সেটা কেন্দ্রই পারবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক৷ কিন্তু পাহাড়ে দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থা রয়েছে৷ কেন্দ্রকে বলব আইনটা সংশোধন করুন৷’ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী উদ্বাস্তুদের হাতে জমির পাট্টা তুলে দেন৷ মমতার কথায়, তিনি উচ্ছেদে বিশ্বাসী নন৷ সেই জন্য সমস্ত উদ্বাস্তু কলোনিকে পাট্টা দিয়েছে সরকার৷ কিন্তু জমি নিয়ে আইনি জটিলতার কারণে পাট্টা বিলি করা যায়নি৷ কিন্তু এবার তাঁরাও জমির পাট্টা পাবেন৷ ২৯ মার্চ দার্জিলিয়ের ম্যালে একটি অনুষ্ঠান থেকে উদ্বাস্তুদের পাট্টা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়, বাংলা যা পারে তা অন্য কেউ পারে না৷ দার্জিলিয়ের উদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা দেওয়া হবে৷ কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না৷