দিল্লিতে ধোসার সঙ্গে মাদক মিশিয়ে এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে । পরে নিজেকে বাঁচাতে দেশের রাজধানী থেকে এরাজ্যের রাজধানী কলকাতায় পালিয়ে আসে সে । অভিযোগ, দিল্লি থেকে কলকাতায় পালিয়ে এসে ফোন এবং অনলাইনের মাধ্যমে ওই নির্যাতিতাকে লাগাতার হুমকি এবং ব্ল্যাকমেইল করছিল অভিযুক্ত। দিল্লি পুলিশের সদর দফতর থেকে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে খবর যাওয়ার পরেই দিল্লি পুলিশের একটি বিশেষ দল কলকাতা পুলিশের সঙ্গে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে । জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় । কলকাতা থেকে দিল্লিতে চাকরি করতে গিয়েছিল সে । বেশ কয়েকমাস আগে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দিল্লির বাসিন্দা এক যুবতীর সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক ক্রমেই প্রেমে রূপান্তরিত হয় । অনলাইনের মাধ্যমেই নিজেরা নিজেদের ফোন নম্বর আদান-প্রদান করে তারা । এরপর দিল্লিতে একটি জায়গায় গিয়ে তারা একাধিকবার দেখা করে বলে জানা গিয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, ওই নির্যাতিতার অভিযোগ, গত মাসের শেষ দিকে মধ্য দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে দেখা করতে ডাকে । অভিযোগ, সেই হোটেলে তাকে ধর্ষণ করেছে শান্তনু ৷ নির্যাতিতা তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে প্রথমে তাকে ধোসা খেতে দেয় শান্তনু । এর পরেই ওই যুবতী অচৈতন্য হয়ে পড়েন । যখন গোটা বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি হোটেল ছাড়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন বারবার মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিলেন । সেই সুযোগেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওই যুবতীর । এ মাসেরই শুরুর দিকে দিল্লির পাহাড়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী । তদন্তে নেমে অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে, ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার ডায়মন্ডহারবার রোডের একটি জায়গায় অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। কলকাতা পুলিশের চেষ্টায় দিল্লি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ।