কেন্দ্রীয় সরকারের বিবিধ নীতির প্রতিবাদে সোম এবং মঙ্গলবার দু’দিনের বনধের ডাক দিয়েছে বাম শ্রমিক সংগঠন, ব্যাংক কর্মচারী সংগঠন-সহ বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার পর দু’দিন ধরে দেশজুড়ে বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কৃষক বিরোধী, শ্রমিক বিরোধী ও জনবিরোধী নীতির বিরোধিতা করেই এই বনধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বনধের দিন যাতে বাংলায় জনজীবন সচল থাকে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। নির্দেশিকা জারি করে জানান হল, বনধের দিন সরকারি অফিস, বেসরকারি অফিস, সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন অফিসে হাজিরা বাধ্যতামূলক। নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কামাই করলে বেতন কাটা যাবে। যৌথ ফোরামের তরফে দাবি করা হয়েছে, কর্মীদের সঞ্চয়ের উপর কোপ মারছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) সুদের হার ৮.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ, কেরোসিন, পেট্রল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মধ্যবিত্তকে চাপে ফেলছে সরকার। কিন্তু এই বনধ করতে গিয়ে কোথাও ট্রেন অবরোধ কোথাও গাড়ি ভাঙচুর করে বাম কর্মী-সমর্থকরা। যার জেরে বামেদের ডাকা ধর্মঘটে রাজ্য জুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে বনধে গাড়ি ভাঙার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। যারা গাড়ি ভেঙেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশ তিনি। রাজ্যের অর্ডার অনুসারেই বিক্ষোভকারীদের থেকেই ক্ষতিপূর্ণ নেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।