ঘটে গিয়েছে একাধিক হিংসাত্মক ঘটনা। এই সমস্ত ঘটনায় উদ্বিগ্ন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে ২২ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, রূপম ইসলাম, অনুপম রায়, ঋদ্ধি সেন, সোহিনী সরকার প্রমুখ। হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যাকাণ্ড, পূর্ব বর্ধমানে তুহিনা খাতুনের মৃত্যু, ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু খুন, পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলার অনুপম দত্ত খুন ও রামপুরহাটের বগটুইকাণ্ডের উল্লেখ করে চিঠিতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা।চিঠিতে বগটুইকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘এ রকম ঘটনার আগে পুলিশ ও প্রশাসন তৎপর বা সক্রিয় হল না কেন? তা হলে হয়তো বাংলায় আরও একটি ঘৃণ্য রাজনৈতিক হিংসার নিদর্শন আটকানো যেত।’ ২০২৩-এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট রয়েছে। সেই ভোট যাতে সুষ্ঠু ও অবাধে হয়, মুখ্যমন্ত্রীকে তা নিশ্চিত করার আবেদনও জানানো হয়েছে চিঠিতে। তবে ঘটনার আগে পুলিশ প্রশাসন আরেকটু তৎপরতা দেখালে বাংলার বুকে আরেকটি ঘৃণ্য রাজনৈতিক হিংসার নিদর্শন রুখে দেওয়া যেত বলে মত বিশিষ্টদের ৷ এছাড়া বাকি হিংসার ঘটনাগুলির তদন্তের সঠিক দিশা সাধারণের সামনে তুলে ধরার আর্জিও খোলা চিঠিতে জানান কৌশিক-বোলান-ঋদ্ধিরা ৷ একইসঙ্গে চিঠিতে স্বাক্ষর করা ব্যক্তিদের কোনও রাজনৈতিক স্বার্থ নেই বলেও জানান তাঁরা ৷ দেশের অধিকাংশ অংশে গরিষ্ঠতাবাদী বিভাজন সৃষ্টিকারী শক্তি বাংলাতে আপনার জন্যই মাথা তুলতে পারেনি বলে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থনও করেন বিশিষ্টরা ৷ কিন্তু রাজ্যের ভিতরে ভুলত্রুটিগুলো না-শোধরালে বিভেদ সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক শক্তি তার ফায়দা নেবে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান সকলে ৷আরও পড়ুন : বগটুই-কাণ্ডে জেল হেফাজতে থাকা 9 অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরার অনুমতি পেল সিবিআইযদিও বিশিষ্টদের এই চিঠিকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন, ‘বিলম্বিত বোধোদয়’।