শেষ পর্যন্ত মধ্যরাতে আস্থা ভোটে হার ইমরান খানের। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদি হারালেন ইমরান খান। আস্থা ভোটে সব ভোট পড়েছে পাকিস্তানের কাপ্তানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তান পার্লামেন্টের জাতীয় পরিষদে স্পিকার আসাদ কায়সার অন্তত চারবার অধিবেশন মুলতবি করেছিলেন। একটা সময় তো তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ভোটাভুটির আয়োজন করতে পারবেন না। তার পরই বিরোধীরা ইমরান খানকে গ্রেফতারের দাবি তোলে। পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকার ইমরানের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে দেখা করার পর ইস্তফা দেন। স্পিকার এবং ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট পরিচালনা করবেন কে! এর পরই নতুন স্পিকারের পদে বসেন আয়াজ সাদিক। তিনি ভোট পরিচালনার দায়িত্ব নেন। শেষমেশ আস্থা ভোট শুরু হয় মাঝরাতে। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট পিছিয়ে দিতে সবরকম কৌশল অবলম্বন করেছিল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। শেষ পর্যন্ত মাঝরাতে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল মাঝরাতেই আদালতের দরজা খোলার সিদ্ধান্ত নেন। ইসলামাবাদে এখন ব্যাপক উত্তেজনা। পরিস্থিতি থমথমে। যে কোনও সময় পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে। ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হলে তাঁর সমর্থকরা রাস্তায় নেমে তাণ্ডব করতে পারে। এই আশঙ্কায় ইসলামাবাদে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে হাসপাতাল, সর্বত্র হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। ইমরানের দল পিটিআই ও বিরোধীদলগুলোর মধ্যে বিস্তর বাগবিতন্ডা চলে দিনভর। শেষ পর্যন্ত শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার পর ভোটাভুটি হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পর স্পিকার আসাদ কায়সার বলেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট করাতে পারবেন না। ইমরানের সঙ্গে তাঁর ৩০ বছরের সম্পর্ক। তাই তাঁর পক্ষে এই ভোট পরিচালনা করা সম্ভব নয়। পরে তিনি ইস্তফাও দেন। বিরোধীরা এর পর স্পিকারকে জানান, তিনি অনাস্থা ভোট না করলে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করা হবে। এতে ইমরান ও তাঁর গ্রেফতারির সম্ভাবনা বাড়বে। প্রসঙ্গত, অনাস্থা ভোটে টিকে থাকতে ৩৪২ আসনের জাতীয় পরিষদে ইমরানকে ১৭২টি ভোট পেতে হত। ইমরানের দলের ১৫৬টি আসন। এর মধ্যে বেশ কিছু নেতার ইমরানের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা ছিলই।