নিউ দিঘার একটি হোটেলে আত্মঘাতী হলেন এক ব্যক্তি। নাম রাম উপাধ্যায় (৪৩)। হুগলির ডানকুনি থানার গোকুলধাম দিল্লি রোডের বাসিন্দা। পুলিস প্রাথমিক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছে, রবিবার প্রেমিকার সঙ্গে দিঘা আসেন তিনি। রাতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। সোমবার দুপুর নাগাদ হোটেলের লোকজন উদ্ধার করে নিয়ে আসেন দিঘা হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পুলিস জানতে পেরেছে, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসতের নপাড়ার বাসিন্দা তিনি। বিবাহিত হলেও সম্পর্ক ছিল রামের সঙ্গে। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, রাতে মদ খেয়ে রাম তাঁর সঙ্গে অশান্তি করেন। মারধরও করেন তাঁকে। রাগে ব্যালকনিতে চলে যান তিনি। সেই ফাঁকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেন রাম। এরপর হোটেল কর্মীরা দিঘা থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে রামবাবুর দেহ উদ্ধার করে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে, নিহতের মহিলা সঙ্গীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই বিষয়ে মহিলা সঙ্গী মালা ঘোষ বলেন, “মদ্যপ অবস্থায় এই রকম কাণ্ড ঘটিয়েছে । মদ খেয়ে পুরো বেঁহুশ ছিল । রবিবার আমরা দিঘা বেড়াতে আসি । রাতেই আমাকে মারধর করে ৷ প্রথমে দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগাতে যাচ্ছিল দেখে পেয়ে সরিয়ে দিই । এরপর আমাকে দুটো চড় মারে । আমি তখন ব্যালকনির দিকে চলে যাই । তারপরেই এরকম ঘটনা ঘটিয়েছে । আমরা দু’জনেই সম্পর্কের মধ্যে রয়েছি ।”