জ্বালানির দাম কমানোর জন্য রাজ্যের কোর্টে বল ঠেললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জ্বালানির শুল্ক কমাতে রাজ্যগুলিতে আবেদন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। বিজেপি শাসিত এবং অবিজেপি রাজ্যগুলির জ্বালানির দামের তুলনা টেনে এই আবেদন করেন তিনি। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আজকের বৈঠক ছিল কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে। কোভিড রোধে কেন্দ্র এবং রাজ্যের যৌথভাবে কী করা উচিত সেই বিষয়ে আলোচনার কথা ছিল আজ। সেই আলোচনায় হঠাত করেই জ্বালানির প্রসঙ্গ তুলে নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যে ইতিমধ্যেই জ্বালানি শুল্ক কমিয়েছে এর পাশাপাশি বিরোধী কিছু রাজ্যেও এই শুল্ক কমান হয়েছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে বাংলা এবং মহারাষ্ট্রের মত রাজ্যের নাম তুলে অভিযোগ করা হয় যে এরা জ্বালানি শুল্ক কমায়নি। কার্যত মোদির সেই মন্তব্যের জবাবই নবান্ন থেকে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, এদিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী একতরফা কথা বলেছেন ৷ কোনও রাজ্যকে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি ৷ তাঁর প্রশ্ন, পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়াচ্ছে কেন্দ্র, তাহলে রাজ্যগুলি দাম কমাবে কী করে ? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে ২৫ শতাংশ বেশি ট্যাক্স পেট্রোপণ্য থেকে কেন্দ্র পায় বলেও তিনি দাবি করেছেন ৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারও পেট্রোপণ্যে ছাড় দেয় ৷ এক টাকা করে সাবসিডি দেয় ৷ এর জন্য বাংলার সরকারের দেড় হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয় ৷ একই সঙ্গে মমতার দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি কেন্দ্রের থেকে অনেক বেশি অনুদান পায় ৷ অবিজেপি শাসিত তা পায় না ৷ তাঁর অভিযোগ, নভেম্বরে লোক দেখানো দাম কমিয়েছিল কেন্দ্র ৷ অথচ পেট্রোপণ্যের দাম বাড়িয়ে কেন্দ্র ১৭ লক্ষ কোটি আয় করেছে ৷ সেসব প্রধানমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় না ৷ তাঁর আরও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার সব টাকা নিয়ে চলে যায় ৷ রাজ্যকে কোনও টাকা দেয় না ৷ তাঁর কথায়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার 97 হাজার কোটি টাকা পায় ৷ অথচ টাকা দেয় না বড় বড় ভাষণ ৷ রাজ্যের উপর দোষ চাপিয়ে সব সাধু সেজেছে ৷ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মমতা বক্তব্য, কোভিডের বৈঠকে এই ধরনের কথা বলা উচিত নয় ৷ পাশাপাশি তিনি আবারও পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর দাবিতে সরব হন ৷