জেলা

অবশেষে নকশালবাড়িতে খাঁচাবন্দি চিতা

পাঁঠার লোভে খাঁচাবন্দি হতে হল চিতাবাঘকে ৷ তবে এতে সাময়িক স্বস্তি ফিরলেও এখনও দুশ্চিন্তায় নকশালবাড়ি ব্লকের হাতভরাজোত এলাকার চা বাগানের শ্রমিকরা ৷ কারণ, গ্রামবাসীদের মতে ওই এলাকায় আরও একটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ রয়েছে ৷ তাই সেটি ধরা না পড়া পর্যন্ত কেউ কাজে ফিরতে চাইছেন না ৷ সম্প্রতি নকশালবাড়ি ব্লকের হাতভরাজোতে চিতাবাঘের হানায় গুরুতর জখম হন এক মহিলা চা শ্রমিক ৷ তার পর থেকেই হাতভরাজোতের চা বাগানের শ্রমিকদের চিতাবাঘের আতঙ্ক গ্রাস করেছে ৷ রাত হলেই একপ্রকার ঘরবন্দি হয়ে দিন কাটাচ্ছেন গ্রামবাসীরা ৷ চা শ্রমিকদের দাবি, এলাকায় দু’টি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ দেখা গিয়েছিল ৷ যার ফলে চা বাগানে কাজে যোগ দিতেও ভয় পাচ্ছিলেন শ্রমিকরা ৷ আর ওই মহিলা জখম হওয়ার পর যতদিন পর্যন্ত না চিতাবাঘ ধরা পড়বে, ততদিন কেউ কাজে যোগ দেবে না বলে জানান তাঁরা ৷ এর পরই চিতাবাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেয়ে কার্শিয়াং বন দফতরের বাগডোগরা রেঞ্জার্স চিতাবাঘটিকে ধরতে খাঁচা বসায় ৷ খাঁচায় চিতাবাঘটির টোপের জন্য একটি কচি পাঁঠাও রাখা হয় ৷ সেই খাঁচা বসানোর ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার সকালে খাঁচায় আটকে পড়ে চিতাবাঘটি৷  চিতাবাঘটি উদ্ধার করে বেঙ্গল সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে ৷ তবে, এখনই নিশ্চিত হতে পারছেন না চা বাগানের শ্রমিক এবং স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাঁদের দাবি, একটি চিতাবাঘ বন্দি হলেও, আরও একটি চিতাবাঘ এলাকায় রয়েছে ৷