রক্ষকই ভক্ষক। সরাসরি চন্ডীগড়ের ব্যবসায়ীকে গাড়ি তুলে অপহরণ করে তোলাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ৪ সিবিআই সাব ইন্সপেক্টর। জানা গেছে, গত ১০মে চন্ডীগড়ের ব্যবসায়ীর অফিসে হানা দেয় সিবিআই। ব্যবসায়ীর জঙ্গি যোগ বলে দাবি করে সিবিআইয়ের সাব ইন্সপেক্টর-রা। তখন ব্যবসায়ী গোটা বিষয়টা নাক চকরে দেন এবং বারবার বলেন এটা অসম্ভব। এরপর সিবিআই তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে অপহরণ করতে করে এবং তাকে ভয় দেখিয়ে এক কোটি টাকা চায়। ব্যবসায়ী বলে তাঁর কাছে এখন এতো টাকা নেই। তখন সিবিআই তাঁকে ২৫ লক্ষ টাকা এক দিনে মধ্যে জোগার করতে বলে এবং বাড়ির লোককে ফোন করতে বলেন। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে চণ্ডীগড়ের সিবিআই আধিকারীক-রা এবং অভিযুক্ত ওই ৪ সাব ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতার করে। জানা গেছে, দিল্লির ৪ সিবিআই সাব ইন্সপেক্টর সুমিত গুপ্তা, প্রদীপ রানা, অরুণ কুমার ও আকাশ আহলওয়াট একটি গাড়ি ভাড়া নিয়ে দিল্লি থেকে তল্লাশি অভিযানে পৌঁছে যায় চন্ডীগড়। সরাসরি অভিষেক ডোগরা নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালাতেও শুরু করে। এখানেই শেষ নয়। কার্যত গ্রেফতার করা হচ্ছে বলে বাড়ি থেকে তুলে নিয়েও আসা হয়। দিল্লির ওই সিবিআইয়ের চার এসআই অভিষেকের পরিবারের কাছে ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরিবারের তরফে সরাসরি যোগাযোগ করা হয় চন্ডীগড়ে সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার সঙ্গে। জানানো হয় পুরো বিষয়। চন্ডীগড় শাখার সিবিআই কর্তারা খোঁজ নেন সরাসরি দিল্লি সিবিআই হেড কোয়ার্টারে। এরপরই আসল তথ্য প্রকাশ্যে। এমন কোনও অভিযান ও গ্রেফতারের কথা জানেন না দিল্লির সিবিআই কর্তারা। তাদের অন্ধকারে রেখেই দফতরে নাম ভাড়িয়ে তোলাবাজির চেষ্টা করে ওই চার সাব ইন্সপেক্টর। এরপরই অভিষেক ডোগড়া সিবিআইয়ে চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। যে চার সিবিআই এসআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর । নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই ঘটনায় আর অন্য কেউ জড়িত কি না বা মাস্টার মাইন্ডকে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী সিবিআই অধিকারীকরা ।