বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং তৃণমূলে যোগদান করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বাংলায় কেন্দ্রীয় টিম পাঠালো বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব । তবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ যাদব আসার কথা থাকলেও, বিশেষ কাজে আজ তিনি কলকাতায় আসতে পারেননি । কিন্ত অমিত মালব্য নেতৃত্বে বিশেষ টিম আজ বাংলায় আসে । নিউটাউনে একটি পাঁচতারা হোটেলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন । শেষে পরিস্থিতি খারাপ বুঝে শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় । বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের এক সপ্তাহের মধ্যে কীভাবে অর্জুন তৃণমূলে যোগ দিলো ? এই নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের কাজেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির সামগ্রিক অবস্থা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবার কড়া অবস্থান নিতে চাইছে । রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদের দল বদল আটকাতে সব রকম পদক্ষেপ করতে হবে, শুভেন্দু ও সুকান্তকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে । বিজেপি সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে বিজেপির সাংসদ ও বিধায়কদের ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব । তার জন্যই আজ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য রাজ্য নেতৃত্বকে আজ ভোকাল টনিক দিলেন । অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে জরুরি ভিত্তিতে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে । আগামী ২৫ মে দিল্লিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা একান্তে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক করবেন । কেন এই বৈঠক, তা নিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরে জল্পনা তুঙ্গে ৷ সূত্রের খবর, দিলীপকে রাজ্যের বিশেষ কোনও বড় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে । কারণ, সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা কম । তাই দিলীপের নেতৃত্বেই বাংলায় বিজেপির সংগঠনকে মজুবত করার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে । বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “দেখুন দিল্লির এই বৈঠক একেবারেই রুটিন । আর জেপি নাড্ডাজির সঙ্গে আগেও বৈঠক করেছিলাম । আবার কয়েকটি বিষয় নিয়ে ২৫ মে বৈঠক করব । এটা সাধারণ বিষয় ৷”